সিপিএমের যুব সংগঠন থেকে সরলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পার্টিতে গুরুদায়িত্ব পাওয়ার কারণে এবার ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পদে যে তিনি আর থাকছেন না তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। পাশাপাশি বয়সের কারণেও তাঁকে ছাড়তে হল যুব সংগঠনের শীর্ষ পদ।
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধ্রুবজ্যোতি সাহাকে। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি হিসেবে সংগঠনের কাজে মীনাক্ষীর ছায়া সঙ্গী ছিলেন মুর্শিদাবাদের ধ্রুব। তাঁর কাঁধেই এবার দেওয়া হল রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব। আর যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের নেতা অংনায়শু সরকারকে। পার্টির যুব সংগঠনের শীর্ষ পদ ফের বর্ধমান লবি ধরে রাখল। সভাপতি ও সম্পাদক পদে যথাক্রমে অয়নাংশু ও ধ্রুবজ্যোতির আসা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। সংগঠনের মুখপত্র যুবশক্তির-র সম্পাদক কাকে করা হবে তা নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। কলকাতার এক বিতর্কিত যুব নেতার নাম উঠে এসেছিল সেই পদে। সেই যুব নেতার বাড়িও আবার হাওড়াতে। কিন্তু সেই বিতর্ক এড়াতে হাওড়ার যুব নেতা সরোজ দাসকে যুবশক্তির সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুকান্তর মন্তব্য! কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সোনাগাছির যৌনকর্মীদের
ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক নতুন আশা দেখেছিল সিপিএম। পার্টিতেও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মীনাক্ষী। কিন্তু প্রচারে তাঁকে সামনে রেখেও গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভোট বাড়েনি। তবে মীনাক্ষীকে সিপিএম দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও জায়গা দিয়েছে। মীনাক্ষী-সহ কলতান দাশগুপ্তও আর যুব সংগঠনে নেই। বয়সের কারণেই কলতানকে শেষমুহূর্তে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পার্টির তরফে।
আরও পড়ুন: মমতার ‘কথাঞ্জলি’! স্কুলের লাইব্রেরিতে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯টি বই
রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সিপিএম নেতা গৌতম দেবের পুত্র সপ্তর্ষি দেব। ৯৭ জনের নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগের কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন একসঙ্গে ৫৬ জন। ২৫ জনের সম্পাদকমণ্ডলী করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে বহরমপুরের রবীন্দ্রভবনে শুরু হয়েছিল ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন। সোমবার তা শেষ হয়েছে। সম্মেলনের আলোচনায় যুব সংগঠনের দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে। একেবারে বুথস্তরে সিপিএমের যুব সংগঠনের হাল যে খুবই খারাপ, নেতাকর্মীর অভাব তা উঠে এসেছে প্রতিনিধিদের আলোচনায়। শাখা কমিটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাছাড়া, কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি হলেও নিচুতলায় সিপিএমের যুবদের কোনও আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি যুব সংগঠনে নতুন অনেককে এবার নিয়ে আসা হলেও আগামীদিনে যুব সম্প্রদায়ের সমর্থন বাড়বে কি না তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নয় আলিমুদ্দিন।