আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রভান্ডার। ভারতীয় সেনার জন্য আরও উন্নতমানের ড্রোন এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অস্ত্র কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৭ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে রাজনাথ সিংহের মন্ত্রক।
আরও পড়ুনঃ জারি হল হাই অ্যালার্ট! ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা
মঙ্গলবার রাজনাথের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল বা ডিজিসি)। সেই বৈঠকে ঠিক হয়, ৮৭টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। এই ড্রোনের জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি। সেই ড্রোনগুলি তৈরি হবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপকরণ দিয়ে। মাঝারি-পাল্লার দীর্ঘ সহনশীলতা (ম্যাল) সম্পন্ন এই সশস্ত্র ড্রোনগুলি ভারতের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞেরা।
বর্তমানে যে কোনও যুদ্ধ বা সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ড্রোন। তার চাহিদাও বাড়ছে দিনে দিনে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় এই সশস্ত্র ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছে ভারতের তিন সেনাবাহিনীই। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আশা, নতুন ম্যাল ড্রোন আরও উন্নতমানের হবে, যা শত্রুর ঘাঁটিতে হামলা করে ফিরে আসবে! এই ধরনের ৮৭টি ড্রোন কিনতে ভারতের খরচ পড়বে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, এমনই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি আরও জানান, আর এই সব ড্রোন কেনার পর ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
আরও পড়ুনঃ ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার শিশুকন্যা; টোটো চালকের তৎপরতায় প্রাণরক্ষা
শুধুমাত্র ড্রোন নয়, ভারত আরও ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও পরিকল্পনা করেছে। দুনিয়ার দ্রুততম ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রহ্মস। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছেন এ দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। এর চারটি মূল শ্রেণি রয়েছে। যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং স্থলবাহিনীর লঞ্চার থেকে শত্রুর উপর ‘ব্রহ্মস’ ছুড়তে পারে সেনা। ক্ষেপণাস্ত্রটির নকশা তৈরিতে হাত রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন) এবং মস্কোর এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার। ভারত এখন আরও ১১০টি বেশি ব্রহ্মস অস্ত্রভান্ডারে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।