Tuesday, 4 November, 2025
4 November
Homeআন্তর্জাতিক নিউজEgypt: হাড়হিম মিশর! ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য! 'অভিশপ্ত' মমি খুলতেই...!

Egypt: হাড়হিম মিশর! ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য! ‘অভিশপ্ত’ মমি খুলতেই…!

প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি- মিশরের 'দ্য গ্রেট পিরামিড অফ খুফু'!

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি- মিশরের ‘দ্য গ্রেট পিরামিড অফ খুফু’! আর তার ঠিক কাছেই এবার উদ্বোধন হয়ে গেল ‘দ্য গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম’ ওরফে জিইএম! কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া ডেসার্ট রোডের উপর এই জাদুঘরই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর! এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা…

৫ লাখ বর্গমিটারের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘরের অবিশ্বাস্য সংগ্রহ! ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান জিইএম-এ আছে এক লাখেরও বেশি প্রত্নসামগ্রী! প্রাক-রাজবংশীয় সময় থেকে গ্রিক ও রোমান যুগ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার বছরের ইতিহাস একছাদের তলায়! রয়েছে ৪৫০০ বছর পেরিয়েও অক্ষত খুফুর ‘সৌরনৌকা’!

আরও পড়ুনঃ হর্ষণা যোগে বজ্র যোগ,কার্তিক শুক্লা ত্রয়োদশী; উন্নতির শিখরে পৌঁছবে এই চার রাশি

৫৫০০-রও বেশি প্রত্নসামগ্রী এই প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য এক জায়গায় প্রদর্শিত হচ্ছে। দুই দশক ধরে এই জাদুঘর বানাতে খরচ হয়েছে ৮৩০০ কোটি টাকা!বছরে অন্তত আশি লাখ দর্শনার্থী দেখতে পারবেন। বিশাল সিঁড়ির কাছে প্রাচীন রাজা রাণিদের মূর্তি এবং উপরের তলায় বিশাল জানালা থেকে দেখা যাবে গিজা পিরামিড।

গত শনিবার উদ্বোধন হওয়া জাদুঘরে ৩২০০ বছরের পুরনো ও ১১ মিটার লম্বা বিখ্যাত ফারাও (সম্রাট) রামেসিস দ্য গ্রেটের মূর্তি আছে। তবে সকলের চর্চায় প্রাচীন মিশরের ফারাও তুতেনখামেনের মমি! ১৯২২ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টারের আবিস্কৃত এই মমি ঘিরেই মানুষের প্রবল আগ্রহ।

মাত্র ৯ বছর বয়সে ফারাও হওয়া তুতেনখামেন ১০ বছর (খ্রিস্টপূর্বাব্দ ১৩৩২-১৩২৩) রাজত্ব করার পর ১৯ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা আজও রহস্যে মোড়া। নানা মুনির নানা মত রয়েছে। পাথর এবং ধ্বংসাবশেষে ঢাকা থাকার তুতেনখামেনের মমি প্রায় ৩০০০ বছর লুকিয়ে ছিল।

১৯২২ সালের ২৬ নভেম্বর হাওয়ার্ড কার্টার তুতেনখামেনের সমাধির তালা ভেঙে ছিলেন। ব্রিটিশ লর্ড কার্নারভন ৩০০০ বছরের পুরনো এই সমাধি আবিষ্কারের জন্য লক্ষ লক্ষ পাউন্ড ব্যয় করেছিলেন। তালা ভাঙার পর তিনিই প্রথম প্রবেশ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ গিনেস বুকে সে তুলেছে নাম! পৃথিবীর ইতিহাসে কে সবচেয়ে নৃশংসতম নরখাদক ছিলেন তা কি জানেন?

তুতেনখামেনের সমাধির প্রবেশপথে কোনও শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় কর্মীরা ফিসফিসিয়ে বলেছিলেন যে ‘যে রাজার ঘুম ভাঙাবে তাঁর মৃত্যু ডানা মেলে আসবে।’ তুতেনখামেনের সমাধি খোলার প্রায় পাঁচ মাস পরই ঘটে যায় যায় একের পর এক হাড়হিম ঘটনা।

সমাধি খোলার দিন কার্টার ঘরে ফিরেই দেখেন যে, এক মিশরীয় গোখরো তাঁর পোষা হলুদ ক্যানারি পাখিটিকে গিলে খাচ্ছে। আর ফারাওদের রাজমুকুটে কিন্তু ফণা তোলা গোখরো সাপের প্রতিকৃতিই থাকত!

৫ এপ্রিল ১৯২৩ তারিখে লর্ড কার্নারভন রহস্যজনক ভাবে মারা যান। সকাল ৬টার দিকে হোটেলের হলঘর জুড়ে তাঁর চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। সেই রাতে ১টা ৫৫ মিনিট কায়রো শহরে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন! অনেকে এও বলেন দাড়ি কাটতে গিয়ে কার্নারভনের গাল কেটে গিয়েছিল। সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

 

তবে সবচেয়ে চমকে দেওয়া খবরটি এসেছিল ইংল্যান্ড থেকে। হ্যাম্পশায়ারে লর্ডের কার্নারভনের পোষা কুকুর ‘সুসি’ তিনবার ঘেউ ঘেউ করে মারা যায়। কার্নারভন ছাড়াও আরও চারজনের রহস্যজনক ভাবে মারা যান।

তবে এসব এখন অতীত।  গিজা পিরামিডের গাইড আহমেদ সেদ্দিক বলছেন, ‘যখন জাদুঘর আংশিক খোলা ছিল, তখনও আমি অনেকগুলো ট্যুর করেছিলাম। আর এখন এটি গৌরবের চূড়ায় পৌঁছাবে। যখন তুতেনখামেনের সংগ্রহ খোলা হওয়া মানেই পুরো পৃথিবী চলে আসবে। কারণ এটা একটি আইকনিক ফারাও, সবচেয়ে বিখ্যাত রাজা।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন