ভয়ংকর ভূমিধসের কবলে আফ্রিকার সুদান। পশ্চিম সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি পাহাড়ি গ্রাম ধসের জেরে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনায় এক হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্য সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট। গ্রামের মাত্র একজন বাসিন্দা কপালজোরে প্রাণে বেঁচেছেন।
সুদানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে অতিভারী বৃষ্টির পর গত ৩১ আগস্ট ধস নামে মারা মাউন্টেনস এলাকার তারাসিন নামে ওই গ্রামে। দুর্ঘটনার পর গোটা গ্রামকে গিলে নেয় মৃত্যু। পরে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধসের জেরে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য রাষ্ট্রসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে দ্য সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট।
আরও পড়ুনঃ লাল পতাকার রাষ্ট্রীয় গাড়ি! কমিউনিস্ট নেতাদের জন্য তৈরি গাড়িতে চড়লেন মোদী
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে উত্তপ্ত সুদান। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল- আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দুজন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে চলা লড়াইয়ে যুযুধান দুই পক্ষের কেউই সংঘর্ষবিরতি মানছে না। রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াইয়ে পশ্চিমের দারফুর প্রদেশে কয়েকশো মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খারতুমেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। যুদ্ধের জেরে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ লজ্জা, SCO Summit-এ ‘হাসির পাত্র’ পাকিস্তান! অনেকে নির্লজ্জ বলেও খোঁটা পাকিস্তানকে
ভয়াবহ এই গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে বহু বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছিলেন এই মারা মাউন্টেইনস এলাকায়। সেখানেই এবার প্রকৃতির রোষে পড়লেন সাধারণ মানুষ। দারফুরের সেনাবাহিনী সমর্থিত গভর্নর মিন্নি মিন্নাউই ভূমিধসকে “একটি মানবিক বিপর্যয়” বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও এই ভয়াবহ ঘটনার পর গৃহযুদ্ধের জেরে সেখানে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।


                                    
