কল্পনা করুন, বরফে ঢাকা এক ভয়ংকর শীতল মরুভূমি, যেখানে জীবন নেই, নেই কোনো প্রাণের স্পন্দন। হঠাৎ সেই শ্বেতশুভ্র জমাট বরফের মাঝখান থেকে গলগল করে বয়ে যাচ্ছে রক্তের মতো লাল জল! ঠিক যেন কোনো অজানা শক্তি বরফের হৃদয় ছিঁড়ে দিয়ে তার রক্ত ঝরাচ্ছে!
এই স্থানটির নাম রক্তের ঝর্ণা বা Blood Falls, রহস্যময় অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত এক বিস্ময়কর জলপ্রপাত। ১৯১১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই এটি বিজ্ঞানীদের অবাক করে রেখেছে। কীভাবে বরফের মাঝে এমন রক্তিম স্রোত সম্ভব?
আরও পড়ুন: Nandigram: বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে বাবা, ভয়াবহ ঘটনা নন্দীগ্রামে
গবেষকরা বলছেন, প্রায় ২০ লাখ বছর আগে বরফের নিচে আটকে থাকা এক লবণাক্ত হ্রদের জল এই রক্তের ঝরনার মূল উৎস। সেখানে অক্সিজেন নেই, সূর্যের আলো পৌঁছায় না, তবুও সেই জল জীবাণুময়, যেখানে বিরল জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে! লবণাক্ত জলে থাকা আয়রন যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন মরিচার মতো রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় জল রক্তের মতো লাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Minakhi Mukherjee: অল্প দূর না বহু দূর? মিনাক্ষী যাবেন কত দূর?
কিন্তু রহস্য এখানেই শেষ নয়! এত গভীর বরফের নিচে আটকে থেকেও কীভাবে সেই জলপ্রবাহ টিকে আছে? কীভাবে সেখানে জীবাণুরা বেঁচে আছে? এই জলপ্রপাত কি আমাদের সৌরজগতের কোনো বরফে ঢাকা গ্রহে জীবনের অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়?
বিজ্ঞানীরা আজও এর সম্পূর্ণ উত্তর খুঁজে পাননি। ব্লাড ফলস যেন পৃথিবীর বুকের এক রহস্যময় ক্ষত, যার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর অজানা গল্প!