বদলে যাচ্ছে নেপালের সমীকরণ। তপ্ত জনতা দখল নিয়েছে গোটা দেশের। যেদিকে তাকানো যাচ্ছে শুধু চিৎকার-আর্তনাদ আর হইচই। শুধু রাজধানী কাঠমান্ডু নয়, উত্তেজনা ছড়িয়েছে সে দেশের বিভিন্ন অংশে। পুলিশে-মানুষে চলা সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। বিদ্রোহীদের হেনস্থার শিকার সেদেশের একাধিক মন্ত্রী। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাসভবন। পদত্যাগ করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে এবার সেনার দখলে দেশ। সেখানে চলা অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবার সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে নামানোর ঘোষণা দিয়েছে নেপাল সেনা।
আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে হঠাৎ উত্তরকন্যায় মমতা, ছুটে এলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা! নেপালে অশান্তির জেরে কী ঘটল?
রাতে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত ১০টা থেকে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের অবস্থান নেবে। নেপাল সেনার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু সাধারণ নাগরিক সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করছে। লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে। নেপাল সেনা আবারও আহ্বান জানাচ্ছে, কেউ যেন এসব কার্যকলাপে জড়িত না হয়। যদি এসব বন্ধ না হয়, তবে দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের সুরক্ষার জন্য সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।” সেনা আরও জানিয়েছে, রাত ১০টা থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় পর্যন্ত কঠোর নজরদারি চালানো হবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জ্বালামুখী নেভাতে দুই তরুণ মুখ নিয়ে জল্পনা; সংকটে কে হবেন সঙ্কটমোচন
এরপর বিজ্ঞপ্তিতে সেনা সমগ্র জাতির কাছে শান্তি ও সহযোগিতা কামনা করেছে। তাঁরা বলেছে, “দেশ ও জনগণের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”