Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeআন্তর্জাতিক নিউজNepal: সেনার চাপে ইস্তফার পথে নেপালের প্রধানমন্ত্রী! হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালানোর...

Nepal: সেনার চাপে ইস্তফার পথে নেপালের প্রধানমন্ত্রী! হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় ওলি এবং তাঁর মন্ত্রীরা

সূত্রের দাবি, নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ইতিমধ্যে ওলিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। জবাবে ওলি জানিয়েছেন, নিরাপদে তাঁকে দেশ ছাড়ার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হোক।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

তীব্র অশান্তির আবহে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি! এক নেপালি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উস্কে গিয়েছে এমনই জল্পনা। জানা গেছে, কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর থেকে কপ্টারে উঠেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সাত জন মন্ত্রী রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ জ্বলছে নেপাল, পুড়ছে নেপাল, বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা

নেপালজুড়ে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ছাত্র-যুব আন্দোলনের ঢেউ মঙ্গলবার আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ বিভিন্ন শহর উত্তপ্ত, রাস্তায় নেমে আসা জনতার সঙ্গে পুলিশ ও সেনার সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। একাধিক শহরে সরকারি দফতরে আগুন, ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর— সব মিলিয়ে দেশ কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে।

জনরোষে কোণঠাসা নেপাল সরকার সোমবার গভীর রাতে বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। কিন্তু তাতেও ক্ষুব্ধ জনতার রোষ কমেনি। ইতিমধ্যেই উপপ্রধানমন্ত্রী-সহ নয়জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, বন, কৃষি, আইন, শক্তি ও জলসম্পদ মন্ত্রীও। শাসকদল ভাঙনের মুখে দাঁড়াতেই সামনে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর খবর। 

‘অন্নপূর্ণা’ সংবাদের দাবি, বিপদ এড়াতে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন বলেও খবর।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েকশো নেপালি সেনা দখল নিয়েছে বিমানবন্দরের। বন্ধ করা হয়েছে সমস্ত বিমান ওঠা-নামা। চরম অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে শাসনভার নেওয়ার হাতে এগোচ্ছে সেনা, শোনা যাচ্ছে এমনটাও। তবে সবচেয়ে বেশি জল্পনা উস্কেছে ওলির দেশ ছাড়া নিয়ে। কপ্টারে উড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন তিনি, খবর এমনটাই।

আরও পড়ুনঃ মুখ খুলল ভারত; নেপালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বাড়ছে আহত-নিহতের সংখ্যা

অভিযোগ উঠেছে, তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠরোধ করতে সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ রাতের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেয়। সেনা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ২১ জন, আহত হন ৩০০-র বেশি। প্রবল চাপের মুখে সোমবার গভীর রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাতেও আন্দোলন স্তিমিত হয়নি। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট দাবি— দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।

বিক্ষোভকারীরা শুধু রাস্তায় গন্ডগোলেই থেমে থাকেননি। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নেপাল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবার বাড়ি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, এমনকি উপপ্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। আগুন লাগানো, ভাঙচুর, ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে সর্বত্র। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভয়ানক ইঙ্গিত দিচ্ছে। অনেকের মতে, যা হচ্ছে, তা ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট বা ২০২৪ সালের বাংলাদেশে ছাত্রবিদ্রোহের ঘটনাক্রমের প্রতিচ্ছবি। রাস্তায় জনতার দাপটে সরকারের পতন যে আর সময়সাপেক্ষ নয়, তা নিয়েই জল্পনা।

এদিকে নেপালে বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে নেপালে থাকা ভারতীয়দের অযথা বাইরে বেরোতে মানা করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অল্প সময়ে এত তরুণ প্রাণহানিতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতরা দ্রুত সেরে উঠুক, সেই প্রার্থনা করি।”

সব মিলিয়ে, হিমালয়ের দেশ নেপাল আজ টালমাটাল। প্রধানমন্ত্রীর গদি টিকবে কিনা, তিনি আদৌ দেশে থাকবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন