‘আগুনে ঘৃতাহুতি’ ফেসবুক বন্ধ হতেই! সোশাল মিডিয়া ইস্যুতে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনে অস্বস্তিতে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকার। ইতিমধ্যে পুলিশ-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আহত কমপক্ষে ২৫০ জন। এই অবস্থায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর, বিরোধীদের ক্রমাগত চাপে আন্দোলন থামাতে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলি দিয়েছেন ওলি। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। অন্য একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, হিংসাত্বক বিক্ষোভে প্রাণহানীর পর নিজেই পদত্যাগ করতে চান লেখক।
আরও পড়ুনঃ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯, ক্রমেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, সন্ধেয় জরুরি বৈঠক মন্ত্রিসভার
নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় আগুনে ঘি পড়েছে। প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে সেদেশের তরুণ প্রজন্ম। রাস্তায় নেমে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তাঁরা। এমনকী একদল উত্তেজিত জনতা সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে ইউনুসের বাংলাদেশ
কাঠমান্ডুর পরে বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, বুটওয়াল, পোখরা, ইটাহারি এবং দামকে কারফিউ জারি হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। স্থগিত হয়েছে পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলগুলির দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন কার হয়েছে। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরাতে সব দলকে একজোট হয়ে কাজ করার পরিমর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।


                                    
