কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি নিয়ে পথে নেমেছে নেপালের একদল মানুষ। তারা হিন্দুরাষ্ট্র ফেরানোর দাবিতেও সরব।
এই দুই দাবি আদায়ে বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। রাজধানী কাঠমাণ্ডু -সহ দেশটির বহু শহরে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। জারি হয়েছে কার্ফু। প্রশাসন পুলিশের পাশাপাশি সেনাকেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ।
আরও পড়ুন: চৈত্র অমাবস্যায় সূর্য গ্রহণ-শনির গোচর, কী আছে কোন রাশির ভাগ্যে?
শুক্রবারের বিক্ষোভে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বহু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। একাধিক শপিং মলসে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আক্রমণ হয় সংবাদমাধ্যমের অফিস। পাল্টা পথে নামে প্রজাতন্ত্রীরাও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল ধুমল রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবির বিরুদ্ধে একাধিক সভা করেছেন।
তারাও রাস্তায় মিটিং-মিছিল করে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। প্রায় দু-দশক আগে নেপালের রাজতন্ত্রের অবস্থান ঘটে। দেশটি হয়ে যায় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। সংবিধান সংশোধন করে হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল হয়ে যায় ধর্মনিরপেক্ষ । এখন আবার পুরনো ব্যবস্থা ফেরানোর দাবি সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার কোটির জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ, ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি; মুখ্যমন্ত্রীর তদন্তের আশ্বাস
এই ব্যাপারে সক্রিয় রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ । দীর্ঘদিন তিনি দেশে ছিলেন না। ধর্মীয় সফর শেষ করে চলতি মাসের গোড়ায় দেশে ফেরার পর তিনি একটি ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে চলমান অপশাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে আহ্বান জানানা। তারপরই সক্রিয় হয় রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ দল রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি। সেই দলই বিক্ষোভের ডাক দেয়।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই দফায় তাদের পয়লা কর্মসূচিতেই দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আসলে দুর্নীতি, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তনের কারণে নেপালের মানুষ বিরক্ত। গণতন্ত্র ফিরলেও তাতে চলমান অস্থিরতার অবসান হয়নি। অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং দলগুলির বোঝাপড়ার অভাবে স্থায়ী সরকার গঠন হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি বেহাল। হাজার হাজার নেপালি তরুণ-তরুণী বিদেশে পাড়ি দিয়েছে চাকরির সন্ধানে। তাদের স্বজনেরা এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষুব্ধ।