কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুরিঃ
সন্তানের জন্ম হয়েছে। পরিজনরা সদ্যোজাতকে দেখতে চাইছেন। কিন্তু, গড়িমসি করছে হাসপাতাল। সন্তানকে দেখাতে দ্বিধাবোধ করছে। কেন? এই নিয়ে সরব হতেই সদ্যোজাতকে সামনে নিয়ে এলেন চিকিৎসক। সদ্যোজাতকে দেখে থমকে গেল পরিবার। নবজাতকের মাথায় ব্যান্ডেজ। কারণ জেনে থ হয়ে গেল পরিবার। উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে। ঘটনাটি কোচবিহারের দিনহাটা হাসপাতালের।
আরও পড়ুনঃ লখিন্দরের দেহ ভেলায় চাপিয়ে নদীতে পাড়ি দিয়েছিলেন বেহুলা; উন্নয়নের বাংলায় লজ্জার ছবি
দিনহাটা বড় শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিউটি খাতুন গতকাল রাত ১০টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার দুপুর নাগাদ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, সন্তান জন্মের পর বাড়ির লোক সদ্যোজাতকে দেখতে চাইলে ডাক্তারবাবুরা টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাড়ির লোকের চাপে নবজাতককে অভিভাবকদের দেখানো হয়। আর সেই সময়ই বাড়ির লোক দেখতে পান, বাচ্চার মাথার অনেকটা অংশ কেটে গিয়েছে। এবং সেটা ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় রয়েছে।
বাড়ির লোক সদ্যোজাতের এমন অবস্থা দেখে শোরগোল শুরু করেন। হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিনহাটা থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতির স্বামী সালাম মিঞা।
আরও পড়ুনঃ ৭৪ জন নিখোঁজ, ৬৮ জনের মৃত্যু, ভয়াবহ নৌকাডুবি
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূতির ক্রিটিকাল ডেলিভারি ছিল। অস্ত্রোপচারের সময় কোনও কারণে ধারালো অস্ত্র নবজাতকের কপালের দিকে লাগে। এবং এই ঘটনায় সদ্যোজাতর কপালে দুটি সেলাই পড়ে। বর্তমানে সদ্যোজাত এবং প্রসূতি উভয়ই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রকাশ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কিছু বলতে চায়নি।