সৌমেন দত্ত, কোচবিহার:
রেলের আয় যতই বাড়ুক ভাঁড়ার কিন্তু ভরছে না। ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আর তাই নানা রেল প্রকল্প থমকে যাচ্ছে। আর সেই তথ্য রীতিমতো চেপে যাওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেলের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ। এই ভাঁড়ার শূন্য অবস্থা তৈরি হওয়ায় নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনের ২৫০ কোটি টাকার আধুনিকীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী এই কাজের জেরে যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব না পরে তার জন্য বিকল্প ৫০ কোটি টাকায় নতুন প্রকল্প করতে চাইছে রেল। এই খবর জানা যায়, স্টেশনের পরিকাঠামোর কাজের দায়িত্বে থাকা সংস্থা রেল ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায়। বিকল্প এই সামান্য টাকায় স্টেশন উন্নয়নের কাজ রেল নিজেই করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ড্রাগন-হাতির যৌথ নাচে আগ্রহী চিন; কমিউনিস্ট শাসকদল ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা
রেল প্রতিটি উৎসবে, পার্বণে, খেলায়, মেলায় বাড়তি ট্রেন চালিয়ে আয় বাড়াচ্ছে। কিন্তু তারপরও প্রকল্পের টাকা তাদের কাছে থাকছে না। এমন তথ্য সামনে আসার পর, কেন এসব ঘটছে? প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপত সনপ বলেন, ‘আগের প্রকল্প হচ্ছে না। তার বদলে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে স্টেশনের উন্নয়নমূলক কাজ হবে।’ এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি। অথচ ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই স্টেশন বিশ্বমানের হয়ে উঠবে বলে ২০২৩ সালে ঘোষণা করেছিল রেল। তার জন্য এই স্টেশনের ভবন ২০১২–১৩ সালে রাজবাড়ির আদলে গড়ে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: আর এস পি মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক অঞ্জনাভ দত্ত-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন
এই প্রকল্পের ডিপিআর তৈরি হয় ২০২৩ সালে। সেখানে দু’টি পর্যায়ে কাজ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। কাজ কিন্তু হয়নি। বরং এখন বলা হচ্ছে, আগের প্রকল্প হচ্ছে না। একটি সংস্থাকে দিয়ে নকশা–সহ ডিপিআর তৈরি করে পাঠানো হয় রেল বোর্ডে। কাজটি করার কথা ছিল রেল ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির। কিন্তু এই পরিকল্পনাটি অনুমোদন পেল না। বরং ৫০ কোটি টাকার মধ্যে প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।