ভগবানপুরে অর্জুন নগরে বোমা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে এনআইআ (NIA) লিস্টে থাকা তৃণমূল নেতাকে বোমা তৈরির মশলা সহ আটক করল ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ২০২২-এর ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অর্জুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছিল এনআইএ।
আরও পড়ুনঃ চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছোতে পারলেন না ট্রাম্প-পুতিন, আবার বৈঠকের সম্ভাবনা
তদন্তে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। তার মধ্যেই ছিলেন এই সুবীর মাইতি। তিনি অর্জুন নগর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, অর্জুন নগরের কমনানবাড় এলাকায় একটি দশকর্মার দোকান রয়েছে, সেই দোকানের আড়ালে বোমা তৈরির মশলা বিক্রি ও সাপ্লাই করতেন ওই নেতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভূপতি নগর থানার পুলিশ হানা দিয়ে প্রচুর টাকার বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে। অভিযুক্ত সুবীর মাইতিকেও আটক করে নিয়ে যায়।
ইতিমধ্যে নেতাকে আটক করার প্রতিবাদে ময়দানে নেমেছে শাসক দল। ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “২০২৬-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল বোমা তৈরির জন্য ঘর গোছাতে শুরু করেছে।” তাঁর আরও দাবি, সুবীর গ্রেফতার হওয়ার পর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়ানোর জন্য থানায় রীতিমতো তদারকি করছেন। অপরদিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র অপরেশ সাঁতরা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, জেনে বলব।”
আরও পড়ুনঃ কৃপা করবেন বংশীধর! আজ গোপালের ভোগে মাখন-মিছরি ছাড়া আর কী দেবেন?
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে এটি রং মশলা এবং বাজি তৈরির সরঞ্জাম। ৬০ কেজির মতো বাজির মশলা উদ্ধার হয়েছে। নাড়ুয়াবিলা বোমা বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি পুলিশের। আজ, শনিবার তাঁকে কাঁথি আদালতে তোলা হবে।