মন্দির আন্দোলনের অভিমুখকে আরও নির্দিষ্ট করে দিলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবত। বৃহস্পতিবার শতবর্ষ পূরণের ঠিক একদিনের মাথায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। সাফ বুঝিয়ে দিলেন, যত্রতত্র মন্দির আর শিবলিঙ্গ খোঁজার কোনও প্রয়োজন নেই। শুনে মনে হতেই পারে যে সঙ্ঘ কি তবে মন্দির আন্দোলনের পথ থেকে সরে এল? আসলে তেমনটা নয়।
এদিন সঙ্ঘ প্রধান বলেন, “কাশী, মথুরা এবং অযোধ্যা হিন্দুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওনারা (মন্দির আন্দোলনকারীরা) মনে করেন বা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা চান, তারা নির্দ্বিধায় যোগ দেবেন। কিন্তু আমার মনে হয় এই তিন জায়গা ছাড়া আর কোথাও মন্দির বা শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন নেই।”
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতে মন্দির আন্দোলন বা ধর্মস্থান ঘিরে বিতর্ক যেন একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের ‘সাফল্য’ আর তারপরেই সেই তালিকায় জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী, সম্ভলের শাহী জামা মসজিদকেও। কোথাও হিন্দু মূর্তির খোঁজে চলেছে সমীক্ষা, কোনও মামলা ঝুলে আদালতে।
আরও পড়ুনঃ বিশাল বি*স্ফো*রণ, দাউ দাউ করে আ*গুন, ভয়াবহ ঘটনা! হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেসের সামনে বাইক!
উল্লেখ্য, এদিন নিজের বক্তৃতা যে শুধু মন্দির অবধিই সীমিত রেখেছিলেন সঙ্ঘ প্রধান, এমনটা নয়। তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্বে ঠাঁই পেয়েছে শুল্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সর্বোপরি বিজেপির সঙ্গে মাঝে মধ্যে তৈরি হওয়া বিবাদ গুঞ্জনের কথাও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ সাধারণের কাছে সাধারণ ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে নিজেদের কৌশল বদল করেছে তারা।


                                    
