মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব হলো, মতুয়া মহৎসব যা এই মাসের অর্থাৎ মার্চ মাসের সম্ভবত ১৯ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। কিন্তু, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত জায়গায় এবং দক্ষিণবঙ্গের বনগাঁ এবং তার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে বসবাস করেন। ঠাকুরনগর তাদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র। সেখানে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। যাদের বাড়ি বনগাঁর আসে পাশে তারা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে স্থানীয় বাবসায়ীরা জানিয়েছেন। কিন্তু, যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন? তারা সেই আগের মতই উত্তরবঙ্গ থেকে শিয়ালদহ। তারপর, সেখান থেকে বনগাঁ লোকাল ট্রেন ধরে ঠাকুরনগর। কোনো স্পেশাল ট্রেন নেই। অথচ, দূর্গাপূজা, দেওয়ালি, ঈদ, ছটপূজো, হোলি উৎসব, সামার স্পেশাল, উইনটার স্পেশাল, রথ যাত্রা সমস্ত ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল স্পেশাল ট্রেন কোনো না কোনো রূটে চলাচল করে। কিন্তু, মতুয়াদের উৎসবে স্পেশাল ট্রেন নেই। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস।
আরও পড়ুন: ইদের কেনাকাটা করতে এসে পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু এক শিশু-সহ ৭ জনের
যদিও আগে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর সাথে বনগাঁ অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। এখন মুর্শিদাবাদ জেলার নশিপুর সেতু চালু হওয়ার পর যোগাযোগ বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। মতুয়া সমাজের উত্তরবঙ্গের মানুষেরা জানান “অনায়াসে একটি স্পেশাল ট্রেন দেওয়ায় যায়। আলিপুরদুয়ার কোচবিহার, এনজেপি, মালদা টাউন, আজিমগঞ্জ, বহরমপুর কোর্ট, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট হয়ে বনগাঁ। অনেকে বলবে সঠিক পরিকাঠামো নেই। কিন্তু, মেমু রেক দিয়ে অন্তত একটি ট্রেন এই বছরের মতো চালু করা যেতেই পারে। শুধু ঐ কটা দিনের জন্য।”
আরও পড়ুন: রংয়ের সাজে বাংলা, শিলিগুড়ি এগার নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হয়ে গেল রঙের উৎসব
সত্যিই কি ভারতীয় রেল মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এইটুকু করতে পারে না? তাতে উত্তরবঙ্গের অনেকই খুব সহজেই এই উৎসবে যোগ দিতে পারেন। হয়তো বালুরঘাট বা রাধিকাপুর – রায়গঞ্জ লাইন থেকেও এরকম কিছু করা যেতে পারে। প্রশ্নটা তুলছেন মতুয়া সমাজের একটা বিরাট অংশের মানুষেরা।