‘এবার শুধু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়, যে ভাষা ওরা জানে সেই ভাষাতেই ওদের জবাব দিতে হবে। এখন সময় এসেছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পুর্নদখল করার।’ এক্স হ্যান্ডেলে এ ভাষাতেই গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এর আগে গর্জে উঠেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাফ বলেছিলেন, এমন জবাব দেব, কল্পনাও করতে পারবেন না। গর্জে উঠেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও। ঘটনার পরেই পহেলগাঁও গিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট বলেছিলেন, কাউকে রেহাত করা হবে না। জঙ্গিদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না।
আরও পড়ুন: কঠোর জবাব দেব, প্রত্যেক ভারতবাসীর রক্ত ফুটছে! পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে ‘মন কী বাতে’ বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের অক্সিজেন পেয়ে গর্জে উঠেছে ভারতীয় সেনাও। রাজনাথের হুঙ্কার ছিল, “ভারত এমন জবাব দেবে, যা গোটা বিশ্ব দেবে!” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধুমাত্র এই হামলার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদেরই নয়, এর পিছনের ষড়যন্ত্রকারীদের কাছেও পৌছব। হামলায় অভিযুক্তরা শীঘ্রই স্পষ্ট ও জোরাল উত্তর পাবে। আমি দেশকে আশ্বাস দিচ্ছি।”
আরও পড়ুন: মর্টার শেল মিলল কোচবিহারে, হইচই কাণ্ড
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠেছে বদলার দাবি। তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনাও। এদিকে কাশ্মীরে নিহতদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার তিন পর্যটকও। ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিবারের জন্য দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে রাজনাথ, অমিত শাহদের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে জঙ্গি দমনে যে কোনও কঠোর পদক্ষেপে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে আছে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে অভিষেকের পোস্ট বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।