চায়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে এক নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনা নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। এখানেই একটি চায়ের দোকানে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। অভিযোগ পেতেই অ্যাকশন নেয় পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিনই তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে দু’জনেরই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বেশ কিছু জিনিসও তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ সমস্ত কিছুই পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: কী অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর ঘর! লালবাড়িকে কি ভুলতে বসেছে রাজ্য?
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন কয়লাপট্টি এলাকায় রয়েছে ওই চায়ের দোকান। এই দোকানের মালিকের নামেই উঠেছে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দোকানেই মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ চা খেতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। আগেও প্রায়শই এখানে চা খেতে এসেছেন। সেই সূত্রে চায়ের দোকানের মালিকের সঙ্গে পরিচয়ও হয়েছিল। তরুণীর স্বামী ভিন রাজ্যে কর্মরত। গতরাতে তিনি ওই দোকানির সাহায্য়েই স্বামীর কাছে অনলাইনে টাকাও পাঠাতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দোকানে বসে কথা বলার সময়েই তাঁকে চায়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: স্নান পূর্ণিমায় সাধ্য যোগে দেদার উন্নতি ৬ রাশির
চা খাওয়ার পরেই আর কোনও জ্ঞানই ছিল না ওই তরুণীর। তিনি জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় দোকানেই অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জ্ঞান যখন ফেরে তখন ঘড়ির কাঁটা বলছে রাত আড়াইটে, শরীরে কোনও পোশাক নেই। আশপাশে কেউ নেই। অবস্থা দেখেই বুঝে যান তাঁর সঙ্গে কী ঘটে গিয়েছে। কোনওমতে পোশাক খুঁজে তিনি ঘরে ফেরেন। পরিবারের লোকজনের কাছে সবটা খুলে বলেন। নরেন্দ্রপুর থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।