Friday, 1 August, 2025
1 August, 25
Homeগল্পBengali Story: "বিসর্জন"

Bengali Story: “বিসর্জন”

যেদিন প্রতাপ চক্রবর্তী কৃষ্ণাদেবীর হাত ধরে এই বাড়ীতে নিয়ে আসে। কিন্তু আজ তারই ছবি দেওয়ালে মালা দিয়ে টাঙানো আছে

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

“বিসর্জন”

সৌমেন মুখোপাধ্যায়

বিছানাতে শুয়ে পুরানো দিনের স্মৃতি কৃষ্ণাদেবীর এক এক করে  মনে পড়ে। ত্রিশ বছর আগে সেই  দিনের কথা – যেদিন প্রতাপ চক্রবর্তী কৃষ্ণাদেবীর হাত ধরে এই বাড়ীতে নিয়ে আসে। কিন্তু আজ তারই ছবি দেওয়ালে মালা দিয়ে টাঙানো আছে। সেই ছবি দূর থেকে কৃষ্ণাদেবীর দিকে তাকিয়ে যেন হাসছে।

“মা”, ছেলের ডাকে মায়ের মন বাস্তবে ফিরে আসে। তাই ছেলের ডাকে সাড়া দেয়, “কি।”

“আমি দিন কতকের জন্য শহরে যাচ্ছি। ”

“কোথায় ?”

আরও পড়ুন: Balurghat: “ইমাজিনিয়া” বালুরঘাট আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি উৎসব শুরু

“কোলকাতায়। অনেক কাগজপত্র দেখলাম বেনামে হয়ে আছে সেইগুলো ঠিক করে নিয়ে আসতে হবে।”

“ঠিক আছে, সাবধানে যাবি।”

“হাঁ মা, তোমার দেখাশুনার জন্য শিউলী রইল।”

“ছোটকর্তা” বাইরে থেকে নায়েবমশায় ডাকতে থাকে।

“যাচ্ছি।” বলে মাকে শেষ বারের মতো কথাগুলো বলে অনিল ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কৃষ্ণাদেবীর অনিলের চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকে। এতবড় একটা জমিদারী এই ছেলেটার মাথায় একটা বোঝার মত হয়ে চেপেছে। ওর বাবা বেঁচে থাকলে সমস্ত কিছুর দেখাশুনার দায়িত্ব তার হাতেই থাকতো। এইসব নানারকম চিন্তা কৃষ্ণাদেবীর মাথায় জটলার মতো জট বাঁধতে থাকে।

আরও পড়ুন: Bangladesh Fire: বাংলাদেশের সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন: ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত

দিন দুই পর নায়েবমশায় একটা টেলিগ্রাফ অনিলের হাতে নিয়ে বলে, “গিন্নীমায়ের শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ, আপনাকে যেতে বলেছেন। ”

টেলিগ্রাফ পড়ে অনিল বলে, “ঠিকই বলেছেন নায়েবমশায়, এইদিকে এত কাগজপত্র সংশোধন করতে বাকী আছে আর ঐ দিকে মায়ের এইরকম অবস্থা। তাই আমি বলছি কি নায়েবমশায়, আপনি এই কাগজপত্র ঠিক করে নিয়ে যাবেন আমি বরং মায়ের কাছে ফিরে যাই।”

“ঠিক বলেছেন ছোটকর্তা।”

জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে তখনি অনিল বাড়ীর দিকে রওনা দেয়।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন