দিন পেরলেই স্বাধীনতা দিবস। ৭৯ তম স্বাধীনতার বছরে পা দেবে ভারত। আর তার আগেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। স্বাধীনতার আগের সন্ধ্যায় ভারতের ‘সুবৃদ্ধির’ কথাই ফুটে উঠল তাঁর মুখে। বললেন, “এই দেশ আত্মনির্ভরতার পথে তীব্র আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।”
বৃহস্পতির সন্ধ্যায় প্রথমেই দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের আগাম শুভেচ্ছা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতির কথায়, “স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সকলের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের যে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস প্রতিটি ভারতীয় অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করেন।”
আরও পড়ুনঃ বিতর্কে অরিজিৎ সিং! শান্তিনিকেতনে অভিযোগ দায়ের
ভারতবাসী নিজের ভাগ্য তৈরি করে। আর সেই কাজে হাতিয়ার তার ভোটাধিকার। রাষ্ট্রপতির মুখেও উঠে এল সেই কথাটাই। তিনি বললেন, “আমাদের স্বাধীনতা পর, আমরা এমন গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছি যেখানে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার পেয়েছেন। নিজেদের ভাগ্য নিজে নির্ধারণের অধিকার পেয়েছেন।”
স্বাধীনতার প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য যে শুধু দেশের গণতন্ত্রের মধ্যে সীমিত থাকল এমনটা নয়। তিনি বললেন, অপারেশন সিঁদুরের কথা। বললেন, বেড়ে ওঠে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথাও। এদিন সেনার সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “এই বছর আমাদের সন্ত্রাসের নাশকতার শিকার হতে হয়েছে। কাশ্মীরে যাওয়া নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের হাতে হত্যার ঘটনা সত্যি অমানবিক। তবে ভারতও দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে জবাব দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুর দেখিয়েছে, কীভাবে আমাদের সেনা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে। কৌশলে তারা সন্ত্রাসবাদীদের শেষ করেছে।”
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলে উদযাপন হলো দ্বাদশ কন্যাশ্রী দিবস
এরপরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভারতের প্রযুক্তির পরবর্তী ধাপ। যা ইতিমধ্য়েই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র দেশের নাগরিকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াতে নানা প্রকল্প এনেছে।”