এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ধুন্ধুমার। দিল্লির রাস্তায় দেখা দিল বিরোধী দলগুলির ঐক্য। একদিকে যেখানে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-আধা সেনা, সেখানেই ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়লেন মহুয়া মৈত্রকে। প্রতিবাদী রূপে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। ব্যারিকেড টপকান অখিলেশ যাদবও।
আরও পড়ুনঃ কাঠগড়ায় হেসে উঠেছিলেন ক্ষুদিরাম, কিন্তু কেন?
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) নামে ‘ভোটচুরি’র প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। সোমবার সংসদ ভবন থেকে অন্তত ২০০ বিরোধী সাংসদ প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে রওনা দিলে সেই মিছিল আটকালো পুলিশ। সংসদ ভবন থেকে কিছু দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকালে। ব্যারিকেডে চড়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেবরা। ব্যারিকেড টপকে চলে আসেন অখিলেশ যাদব। অন্যদিকে, বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিকদের তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা! হামলায় নিহত ৫ সাংবাদিক
এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ধুন্ধুমার। দিল্লির রাস্তায় দেখা দিল বিরোধী দলগুলির ঐক্য। একদিকে যেখানে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-আধা সেনা, সেখানেই ব্যারিকেডের উপরে উঠে পড়লেন মহুয়া মৈত্রকে। প্রতিবাদী রূপে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। ব্যারিকেড টপকান অখিলেশ যাদবও।
পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিরোধী সাংসদরা। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী থেকে ডিম্পল যাদব, একাধিক মহিলা সাংসদ বসে পড়েন রাস্তায়। উপস্থিত রয়েছেন রাহুল গান্ধী, ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ একাধিক সাংসদ। তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর পর্যন্ত যেতে চান তাঁরা। কিন্তু পুলিশের তরফে লাগাতার মাইকিং করে বলা হচ্ছে, এখানে জমায়েতের অনুমতি নেই।
বিরোধীদের পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি ছিল নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর ঘেরাওয়ের। সেই কর্মসূচি অনুযায়ীই সকাল সাড়ে ১১টার সময় সংসদের মকর দ্বারে জমায়েত করেন প্রায় ২০০ সাংসদ। এরপর তারা একসঙ্গে এগোতে থাকেন। কিন্তু মিছিল শুরুর মুখেই বাধাপ্রাপ্ত হয়। মাত্র ৪০০ মিটার এগোতেই পুলিশ বিরোধী সাংসদদের আটকে দেয়। ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি বিরোধীদের। মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব, একে একে সাংসদরা ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। মহিলা পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
সাংসদদের বাধা দেওয়ায়, এরপরে রাস্তায় বসে পড়েন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও অন্যান্য সাংসদরা। রয়েছেন রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ আজহারউদ্দিন। শেষে পুলিশ বিরোধী সাংসদদের জোর করে বাসে তুলে দেয়।