ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিগির তুলেছে পাকিস্তান। ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে বৃহস্পতিবার রাতেই ড্রোন, মিসাইল হামলা চালিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। পাকিস্তানের কোনও হামলাই ভারতে আঘাত হানতে পারেনি। এদিকে, ভারতে একদিন হামলা চালিয়েই দৈন্য দশা পাকিস্তানের।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্য়েই হাত পাততে শুরু করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হতেই আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি যাতে ধরে রাখতে পারে, সেই জন্যই এই আর্জি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দাবি বলোচ সাহিত্যিকের, বার্তা ভারতকেও
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতেই একদিকে যেমন অস্ত্র-শস্ত্রের ভাঁড়ার শেষ হতে চলেছে পাকিস্তানের, তেমনই আবার শেয়ার বাজারের ধস দেশের নড়বড় অর্থনীতিকে আরও ঝাঁকিয়ে দিয়েছে। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই হাত পাতল পাকিস্তান। বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছেও সাহায্য় চেয়েছে। ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার পরিস্থিতি থামাতে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, চরম আর্থিক দুরাবস্থা পাকিস্তানে। চিনের দয়া ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঋণেই কোনওমতে টিকে আছে সে দেশের অর্থনীতি। দেশের মানুষের কাছে দু’বেলা খাবারের টাকাও নেই। অথচ নেতামন্ত্রীরা জনগণের কথা না ভেবেই তুলেছে যুদ্ধ জিগির।
পাকিস্তানের অস্ত্র ভাঁড়ারও প্রায় ফাঁকা। দেশের প্রতিরক্ষার থেকে ব্যবসাতেই বেশি মনোযোগী পাক সেনা, তাই ইউক্রেনের কাছে আগেই অস্ত্র, গুলি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন কাঁচামালের অভাবে নতুন করে অস্ত্র তৈরি করতে পারছে না পাকিস্তান। বন্ধু চিনের দেওয়া যে প্রতিরক্ষা সিস্টেম, তাও একদিনেই ভারতের সামনে ডাহা ফেল করে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দিশেহারা পাকিস্তান।