যুদ্ধ জিগির তুলেছিল নিজেরাই, কিন্তু ভারতের সেনার সঙ্গে পেরে উঠছিল না পাকিস্তান। যদি সংঘাত আরও বাড়ে, তবে যুদ্ধ কেউ আটকাতে পারবে না, তা বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই কারণেই পাকিস্তান চেলেছিল অন্য চাল। ভারত নয়, আমেরিকাকে ব্ল্যাকমেইল করেছিল তারা মধ্যস্থতার জন্য। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর।
ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরই মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল পাকিস্তানের। তড়িঘড়ি তারা ন্যশনাল কম্যান্ড অথারিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে। এই দফতরই পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। পরে যখন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে ফোন করেন, তখন মুনির বলেছিলেন পরিস্থিতি যদি খারাপ হয়, তবে ইসলামাবাদ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: চাঁদের আলোয় ঝলমলে ‘মুনলাইট টি’
এটা আসলে পাকিস্তানের চাল ছিল আমেরিকাকে মধ্যস্থতা করানোর। পরমাণু যুদ্ধ কেউ চায় না। সেই কারণেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ভয় দেখিয়ে আমেরিকাকে মধ্যস্থতা করতে বাধ্য করায়। দিল্লিতে ফোন যায় এবং দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়।
পাকিস্তান সেনার এক শীর্ষকর্তা সাংবাদিকদের সামনে স্বীকারও করেছেন যে আমেরিকাকে তারা হুমকি দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর, নাহলে তারা পরমাণু অস্ত্রের সুইচে চাপ দেবে। তার দাবি, নিজেদের অক্ষমতা বিচার করেই পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই কারণেই তারা সীমান্তে লাগাতার গোলাগুলি বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছিল, যাতে তাদের খামতি ধরা না পড়ে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমায় কূর্ম জয়ন্তী স্বাতী নক্ষত্র, ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এই চার রাশির
পাকিস্তানও জানে দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হওয়া অসম্ভব। যুদ্ধ হলে তা দুই দিকেই কেবল বিপর্যয় ডেকে আনবে। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে।
আমেরিকা প্রথমে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতকে ‘আঞ্চলিক বিষয়’ বলেছিল, কিন্তু পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেই আমেরিকাকে ময়দানে নামতে হয়।