Sunday, 4 May, 2025
4 May, 2025
HomeহুগলীPakistani Citizen: চন্দননগরে গ্রেফতার পাকিস্তানি নাগরিক

Pakistani Citizen: চন্দননগরে গ্রেফতার পাকিস্তানি নাগরিক

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বয়সের কারণে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত ফতেমা।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর ইতিমধ্যেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানিদের সব ভিসা বাতিল করেছে ভারত। একইসঙ্গে নতুন করে আপাতত আর কোনও ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে রাগে ফুটছে পাকিস্তান। অন্যদিকে রণহুঙ্কার দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। যে কোনও সময় প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে পাকিস্তান। দরদর করে ঘামছে পাক সেনা। সীমান্তে কড়া নজর রয়েছে জওয়ানের। এমতাবস্থায় এবার চন্দননগর থেকে গ্রেফতার পাকিস্তানি নাগরিক।

আরও পড়ুন: পুরীর কোন সেবায়েত ছিলেন দিঘায়, কোন কাঠে তৈরি হয়েছে বিগ্রহ, তদন্তের নির্দেশ দিল ওড়িশার বিজেপি সরকার

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ভারতে এসেছিলেন ফতেমা বিবি। গত ৪৫ বছর ধরে চন্দননগর কুঠিরমাঠ এলাকায় থাকতেন। বাড়িতে স্বামী-সন্তানও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯৮০ সালে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাবার সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন ফতেমা। ১৯৮২ সালে চন্দননগরের এক বেকারি মালিক মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। পরবর্তীতে তাঁদের দুই মেয়ে হয়। বর্তমানে তাঁরাও বিবাহিত। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।

সূত্রের খবর, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের খাতায় ফতেমা নিখোঁজ ছিলেন ভিসা নিয়ে আসার এক বছর পর থেকেই। এদিকে ‘পাকিস্তান টেনশনের’ মধ্যেই কিছুদিন আগেই সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফেরত চলে যেতে বলে ভারত। এমতাবস্থায়, যাঁরা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে রয়ে গিয়েছেন তাঁদের খোঁজ শুরু হয় নতুন করে। চন্দননগরের কুঠির মাঠের পাশে মসজিদের পিছনে মুজফফর মল্লিকের দোতলা বাড়ি রয়েছে। সেখান থেকেই এদিন ৬০ বছরের ফতেমা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: চেন্নাই থেকে বিমানে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিরা? গোয়েন্দা সূত্রে ‘তথ্য’ পেয়েই তল্লাশি বিমানবন্দরে

ফতেমার পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, হুগলির নালিকুলে বাড়ি ছিল ফতেমার পূর্বসূরীদের। সেখানেই জন্ম হয়েছিল ওই বৃদ্ধের। পরবর্তীতে কাজের সূত্রে পাকিস্তান পাড়ি দেন ফতেমার বাবা। তাঁর সঙ্গেই আবার ১৯৮০ সালে তিনি ভারতে ফেরেন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বয়সের কারণে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত ফতেমা। হাঁটতে অস্ত্রোপচারও করতে হবে। ওষুধ খেতে হয় নিয়ম করে। বয়সের কথা ভেবেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন পরিবারের সদস্যরা। ফতেমার স্বামী জানাচ্ছেন, তাঁর স্ত্রী চন্দননগর পৌরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। এ দেশের আধার কার্ড, প্যান কার্ড সবই রয়েছে। কিন্তু পুলিশের খাতায় তিনি এখনও ফেরার পাকিস্তানি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন