Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeউত্তরবঙ্গNH 10: হলুদ সতর্কতা জারি পাহাড়ে; ভারী বৃষ্টিতে ধসে অবরুদ্ধ ১০ নম্বর...

NH 10: হলুদ সতর্কতা জারি পাহাড়ে; ভারী বৃষ্টিতে ধসে অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ

ঝড়বৃষ্টিতে মহানবমীতে লণ্ডভণ্ড উত্তরের পাহাড়-সমতলের শারদোৎসবের খুশির উন্মাদনা। প্রবল বর্ষণের জেরে ভূমিধসে অবরুদ্ধ শিলিগুড়ি-সিকিম ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ির ক্রান্তি রোডে ভেঙে পড়েছে পুজোর আলোর তোরণ।

আরও পড়ুনঃ মালদহের গাজোলে দুর্গাপুজোয় চরম দুঃসাহস! দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের কীর্তি

কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুজো মণ্ডপ। নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ফলে পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে।

আজ, বুধবার নবমীর সকাল থেকে উত্তরের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ উত্তরের পাহাড়-সমতলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ প্রবল বৃষ্টি চলছে। সিকিম পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে মাল নদীর জলস্তর বাড়ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার উত্তরের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও মালদহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জারি করা হয়েছে ‘হলুদ’ সর্তকতা।

আরও পড়ুনঃ কার্শিয়ংয়ের রাজরাজেশ্বরী! পাহাড়ে ১০৯ বছর ধরে বাঙালি ঐতিহ্যের দুর্গাপুজো

শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে ‘হলুদ’ সর্তকতা।  কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “দশমীতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে। সঙ্গে থাকবে ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া।”

ইতিমধ্যেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার খবর এসেছে। ধসের কারণে অবরুদ্ধ বেশকিছু এলাকা। পর্যটনের মরশুম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্যটকরাও দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ একাধিক জায়গায় রয়েছেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। ভারী বৃষ্টিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে, সেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই। প্রশাসন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে খবর।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন