অভিযোগ তাঁর দলেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় প্রাণ গিয়েছে দশ বছরের ফুটফুটে মেয়েটার। ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন শোকবার্তা। স্পষ্ট লিখেছিলেন, “এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বার্তা দিয়েছি, এই ঘটনায় যারা জড়িত, দল-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।” কালীগঞ্জের জয়ী প্রার্থী সেই আলিফা আহমেদকেই এবার ‘চুপ করতে’ বলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার মোটে ৪! ছুড়েছিল ৫০টার বেশি বোমা; কী করল কালীগঞ্জের পুলিশ?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধানসভায় নদিয়ায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন দলনেত্রী। সেখানেই দলের নেতা তথা বিধায়কদের আলিফাকে এ ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে বারণ করেন বলে খবর। যা বলার দল বলবে। দলীয় নেতৃত্ব বলবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবার্তার খবরে ঘুম ভাঙলো পুলিশের! কালীগঞ্জ কাণ্ডে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
এদিকে ফলাফলের আগের দিন সমাজ মাধ্যমে আলিফার বার্তা ছিল অশান্তি এড়ানোর। কিন্তু ফলাফলের দিন এক্কেবারে অন্য ছবি দেখে বঙ্গবাসী। তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তাতেই মৃত্যু হয় বড় চাঁদঘর পঞ্চায়েতের মোলন্দা গ্রামের তামান্ন খাতুনের। এ ঘটনা নিয়েই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বামেরা। তোপ দেগেই চলেছে পদ্ম ব্রিগেড। এমতাবস্তায় নব নির্বাচিত বিধায়কের জন্য দলনেত্রীর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।