সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্কুলে সরস্বতী ঠাকুর দেখতে যাবে বলে। কিন্তু বিকেলে সেই ছেলে ঘরে ফিরল ‘বৌ’ নিয়ে। বাড়ির লোকজন অবাক। তবে ১৭ বছরের কিশোর গম্ভীর ভাবে জানিয়ে দেয় দুপুরে মন্দিরে গিয়ে বিয়েটা সেরে এসেছে। ‘পাত্র’-এর বিয়ের বয়স হয়নি। ‘পাত্রী’ও নাবালিকা, সবে নবম শ্রেণির ছাত্রী। আতান্তরে পড়ে পরিবার। অন্য দিকে, মেয়ের বাড়ি থেকে অভিযোগ পেয়ে সোজা ‘নাবালক বরের’ বাড়িতে কড়া নাড়েন বিডিও। বেশ কিছু ক্ষণের তর্ক-বিতর্ক, আলোচনার পর মেয়েটিকে বাড়ি পাঠাতে পেরেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকে।
আরও পড়ুন: Rail Accident: ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! লাইনচ্য়ুত দু’টি ট্রেন
চন্দ্রকোনার ১৭ বছরের ওই কিশোরের সঙ্গে ঘাটালের নবম শ্রেণির ছাত্রীর পরিচয় ফেসবুকে। ছেলেটি স্কুলছুট। এখন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে। বেশ কিছু দিন কথাবার্তার পর দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়ে যায়। যৌথ সিদ্ধান্ত হয়, এ বার বিয়েটা সেরে ফেলবে। সোমবার সেই কাজ করতে দু’জনে উপস্থিত হয় চন্দ্রকোনা এলাকায়। মন্দিরে বিয়ে করে ‘বৌ’কে নিয়ে বাড়ি ফেরে নাবালক ‘বর’।
অন্য দিকে, সরস্বতী পুজো দেখতে স্কুলে যাবে বলে বেরিয়েছিল ছাত্রীটি। বিকেল গড়িয়ে যাওয়ার পরেও সে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। প্রশাসনের কাছে দৌড়ে যান বাবা। মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক ব্লক প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিককে নিয়ে ছেলের বাড়িতে উপস্থিত হন। বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলার পর নাবালক ‘পাত্র-পাত্রী’-সহ ছেলেটির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয় বিডিও অফিসে। খবর দেওয়া নাবালিকার বাড়িতেও।
আরও পড়ুন: South Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সুস্বাদু মধু এবার গুজরাটে
প্রশাসন সূত্রের খবর, উভয় পক্ষকে সরকারি আইন বোঝানো হয়। দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। ছেলেটিকে কাজকর্মে মন দিতে বলা হয়। মেয়েটিকে ভাল করে পড়াশোনা করতে বলেন বিডিও। তার পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তারা সারারাত ধরে মেয়েকে খুঁজেছে। সকালেই জানতে পেরেছে মেয়েকে ‘নিয়ে গিয়েছে’ এক কিশোর।