ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, রানওয়ে থেকে পিছলে সমুদ্রে পড়ে গেল বিমান। আজ, সোমবার হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে বিমানটি এসেছিল। হংকংয়ে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্য়ু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ ত্রাণ, ফের গাজ়ায় হামলা ইজ়রায়েলের; হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর বিদেশমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি একটি কার্গো বিমান ছিল। যাত্রীবাহী বিমান হলে বিপুল প্রাণহানি হতে পারত। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমানের একটা অংশ বিমানবন্দরের পাশে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছে। আপদকালীন দরজা খোলা, বিমানের লেজ ও সামনের অংশ ভেঙে আলাদা হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়ে রবিবার সন্ধে ৭টা ৫০ মিনিট) দুর্ঘটনা ঘটে। হংকং অসমরিক উড়ান পরিবহন দফতর জানিয়েছে, অবতরণের পর বিমানটি উত্তর রানওয়ে থেকে সরে আসে এবং সমুদ্রে পড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ করা হল প্যারিসের জাদুঘর, নেপোলিয়নের গয়না লুট, হুড়োহুড়ি পর্যটকদের
হংকং বিমানবন্দরের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিমানের ভিতরে ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন, তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে রানওয়ের কাছেই গ্রাউন্ড ভেহিকলে থাকা দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অবতরণের সময় বিমানের চাকা হড়কে প্রথমে এই গাড়িটিকে পিষে দেয় এবং এরপরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
হংকং বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত কার্গো বিমানবন্দর। দুর্ঘটনার পরই কার্গো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দক্ষিণ ও মধ্য রানওয়ে সচল রয়েছে। সেখানেই সাবধানতার সঙ্গে বিমান ওঠানামা করছে।
এই কার্গো বিমানটি ৩২ বছরের পুরনো। আগে এটি যাত্রীবাহী বিমান হিসাবেই ব্যবহার করা হত। পরে তা ফ্রেট বিমানে রূপান্তর করা হয়। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছে হংকং প্রশাসন।





