Tuesday, 16 September, 2025
16 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeদেশPM Narendra Modi: বারবার ফোন করছেন ট্রাম্প, ধরছেন না মোদি! ট্রাম্পের মোকাবিলার...

PM Narendra Modi: বারবার ফোন করছেন ট্রাম্প, ধরছেন না মোদি! ট্রাম্পের মোকাবিলার পথ খুঁজতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির একটি হয়ে ওঠার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

গত কয়েক সপ্তাহে মোট চারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু মোদি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে জার্মান সংবাদপত্র ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার অলজেমাইন’-এ।

ওই সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে তোপ দেগেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই মোদি তা ভালো চোখে দেখেননি। গত ১০ আগস্ট তিনি ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের সমালোচনা করেন। জানান, ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির একটি হয়ে ওঠার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প চাইছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল হোক। কিন্তু মোদি তাতে রাজি হননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যদিকে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি সম্ভব নয়, এমনটাও জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প। একইসঙ্গে ভারতের উপর ৫০ শতাংশের শুল্কের বোঝাও চাপিয়েছেন।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেল কিনে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে মদত দিয়েছে ভারত! এই অভিযোগে চলতি মাসের গোড়াতেই ভারতীয় পণ্যে জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। মঙ্গলবার সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল হোয়াইট হাউস। তাতে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল (ভারতীয় সময়) থেকে আমেরিকায় রফতানি করা ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হবে।

ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক ও ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার আবহে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক এবং অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা এবং আর্থিক বৃদ্ধির গতি ধরে রাখার বিষয়ে বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার জার্মান সংবাদপত্র ফ্রাঙ্কফুর্টার অলগেমেইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প সম্প্রতি মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য অন্তত চার বার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নয়াদিল্লি তাতে সাড়া দেয়নি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের প্রস্তুত করা বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, ২৭ অগস্ট আমেরিকার ইস্টার্ন জ়োনের (রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এই জ়োনের অন্তর্গত) সময় অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে নয়া শুল্ক। যা ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিট। সাত পাতার ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ওই সময়ের পর থেকে আমেরিকার বাজারে কোনও মার্কিন পণ্য প্রবেশ করলে তার জন্য বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ২৫ শতাংশ ‘বাড়তি শুল্ক’ (আদতে জরিমানা) কার্যকর করার কারণও স্পষ্ট জানিয়েছে ট্রাম্প সরকার। বলেছে, রাশিয়া থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তেল কেনে ভারত। যার জেরেই ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ স্থগিত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা, ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু, ধসে মৃত ৬ পুণ্যার্থী

আমেরিকার অভিযোগ, ভারতের তেল কেনার জন্যই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অর্থ পাচ্ছে রাশিয়া। যদিও বিভিন্ন পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতের সমালোচনাকারী দেশগুলি নিজেরাই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে! পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার মধ্যে ৬৭,৫০০ কোটি ইউরোর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। ২০২৩ সালে বাণিজ্য হয়েছে ১৭,২০০ কোটি ইউরোর, সেই হিসাবে দেখতে গেলে যা ভারত-রাশিয়ার মোট বাণিজ্যের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু তা-ই নয়, ২০২৪ সালে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির পরিমাণও ১৬৫ লক্ষ টনে গিয়ে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।

কেবল জ্বালানিই নয়, রাশিয়া থেকে সার, খনিজ, রাসায়নিক, লোহা, ইস্পাত এবং নানা যন্ত্রপাতিও আমদানি করে ইউরোপ। পিছিয়ে নেই আমেরিকাও। রাশিয়ার কাছ থেকে তারা পারমাণু শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, প্যালাডিয়াম, বিবিধ সার এবং রাসায়নিক কেনে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও সেই আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকার এই শুল্ক-হুমকি যে ভারত মেনে নিচ্ছে না, তা ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সোমবার রাতেই গুজরাতের অহমদাবাদের এক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যতই চাপ আসুক না কেন, আমরা তার মোকাবিলা করার জন্য শক্তিবৃদ্ধি করে যাব। আমরা আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্প নিয়েছিলাম। সেই সঙ্কল্পের পথে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। দেশ শক্তিশালী হয়েছে।’’

আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি থেকে ভেসে উঠল দেহ

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প সরকার ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপলে প্রায় ৪০০০ কোটি ডলারের (প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা) রফতানি ধাক্কা খাবে। তবে অভ্যন্তরীণ বাজারে কেনাকাটা বাড়ালে সেই ধাক্কা কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি নতুন লগ্নি টানার রাস্তা খুললেও শুল্ক-অভিঘাত কিছুটা সামলানো যেতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মোদীর কাছে কৃষক, গবাদি পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে না।’’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন