Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
Homeউত্তরবঙ্গBJP West Bengal: ধস্তাধস্তি করেও লাভ না হওয়ায় শুরু বিক্ষোভ; সুকান্তদের আটকাল...

BJP West Bengal: ধস্তাধস্তি করেও লাভ না হওয়ায় শুরু বিক্ষোভ; সুকান্তদের আটকাল পুলিশ

মোথাবাড়িতে সুকান্তকে বাধা! ‘রাজীব কুমার আর মমতা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না’, ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

মোথাবাড়িতে জারি ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা)। সেখানে যাওয়ার আগে ইংরেজবাজারের কাছে অর্থাৎ মোথাবাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দিল পুলিশ। বিক্ষোভ দেখাতে সেখানেই বসে পড়েন সুকান্ত-সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড সরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘বিজেপিকে আটকাতেই সেখানে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।’ আঙুল তোলেন সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের দিকে।

২৭ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মালদহের মোথাবাড়িতে হিন্দুদের উপর হামলা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেই পোস্টে সুকান্ত লিখেছিলেন, ‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদহের মোথাবাড়ি অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রা স্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত কামাখ্যা এক্সপ্রেস, কমপক্ষে ৮টি কামরা লাইনের বাইরে

ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। শাসকদলের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। এলাকায় জারি হয় ১৬৩ নং ধারা। ওই ঘটনায় বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন সুকান্ত। ১৬৩ ধারা জারি তাই এলাকায় ব্যরিকেড করে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রবিবার মোথাবাড়ি যেতে গেলেও সেই ব্যারিকেডে আটকে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও।

সেখানে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিনি। ব্যারিকেড ভেঙে মোথাবাড়ি যেতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিক বৈঠক করে মালদহ বাসীর উদ্দেশে ভাল করে রামনবমী পালনের বার্তা দেন। জানিয়ে দেন, তাঁদের যুব মোর্চার কর্মীরা ক’দিন এলাকা পাহারা দেবেন।

আরও পড়ুন: ‘সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে সতর্ক থাকুন’, রামনবমী ও ইদের আগে বার্তা পুলিশের

তৃণমূল ও তাদের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে জানান, রামনামে নাকি ভূত পালায়। রাজ্য থেকে ভূত তাড়াতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন, তাঁরে জয় শ্রীরাম বলে স্বাগত জানানো হবে। মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকেই সরাসরি এদিন দায়ী করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন