ভারতের উইকেটরক্ষক হিসাবে নজিরের সামনে সঞ্জু স্যামসন। এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই নজির গড়ে ফেলতে পারেন তিনি। ছাপিয়ে যেতে পারেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও ঋষভ পন্থকে। এ বারের এশিয়া কাপে মাত্র তিনটি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন সঞ্জু। তাতেই নজিরের সামনে তিনি।
চলতি এশিয়া কাপে তিন ইনিংসে ১০৮ রান করেছেন সঞ্জু। ৩৬ গড় ও ১২৭.০৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টির একটি বড় প্রতিযোগিতায় ভারতের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন পন্থ। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আট ইনিংসে ১৭১ রান করেছিলেন তিনি। ২৪.৪২ গড় ও ১২৭.৬১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। সর্বাধিক ৪২ রান করেছেন। রবিবার ফাইনালে আরও ৬৪ রান করলে পন্থকে টপকে যাবেন সঞ্জু।
আরও পড়ুনঃ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ! মমতা-অমিত শাহ নন, পুজোর উদ্বোধন হল রিক্সা-চালকের হাতে
ভারতের হয়ে একটি বড় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ধোনির রান ১৫৪। তিনি ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই রান করেছিলেন। ছ’টি ইনিংসে ১৫৪ রান করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ৩০.৮০ গড় ও ১২৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন ধোনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে ৪৭ রান করলে ধোনিকে টপকাবেন সঞ্জু।
আরও পড়ুনঃ ৭৯তম বর্ষে পা; বাড়ির পুজোয় রানি-কাজল, সোনালি-সাদা শাড়িতে নজর কাড়লেন
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ ম্যাচে ৯৬৯ রান করেছেন সঞ্জু। ২৬.১৮ গড় ও ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। তিন শতরানের পাশাপাশি তিনটি অর্ধশতরানও রয়েছে তাঁর। অর্থাৎ, এশিয়া কাপের ফাইনালে ৩১ রান করলে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান পূর্ণ হবে সঞ্জুর।
এশিয়া কাপের আগে ভারতের হয়ে ওপেন করতেন সঞ্জু। ভাল ফর্মেও ছিলেন তিনি। কিন্তু এশিয়া কাপে অভিষেক শর্মার সঙ্গে শুভমন গিল ওপেন করায় জায়গা হারিয়েছেন তিনি। পাঁচ নম্বর বা তার নীচেও নামছেন তিনি। ওমানের বিরুদ্ধে ৫৬ রান করেছিলেন সঞ্জু। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৩ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৯ রান করেছেন। এখন দেখার ফাইনালে ব্যাট করার সুযোগ সঞ্জু পান কি না।