Monday, 3 November, 2025
3 November
Homeদক্ষিণবঙ্গBankura: পুজো শুরু করেন রঘু ডাকাত! বিপ্লবীদের গোপন বৈঠক হত বাঁকুড়ার এই...

Bankura: পুজো শুরু করেন রঘু ডাকাত! বিপ্লবীদের গোপন বৈঠক হত বাঁকুড়ার এই মন্দিরে

মন্দিরে একসময় বিপ্লবীদের গোপন বৈঠকও হত।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সৌমেন মুখার্জ্জী, বাঁকুড়া:

রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে বাঁকুড়ার বড় কালীতলা মন্দিরেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমা ও মন্দির সাজানোর কাজকর্ম। এই মন্দিরের পুজো নিয়ে অনেক কাহিনিও রয়েছে। কথিত আছে রঘু ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। মন্দিরে একসময় বিপ্লবীদের গোপন বৈঠকও হত।

আরও পড়ুনঃ দুর্গোৎসব, বিজয়ার আমেজ কাটতে না কাটতেই বঙ্গে শুরু শক্তি আরাধনা; শ্যামা আরাধনায় মেতেছে কালীক্ষেত্র কলকাতা

মন্দির প্রাঙ্গনে বাতাসে ধূপের গন্ধ। দূরে শোনা যায় ঘণ্টার ক্ষীণ আওয়াজ। দেবীমূর্তির সামনে জ্বলে প্রদীপ। কিন্তু দেবীর মাথায় থাকে না রুপোর মুকুট। জানা যায়, দেবীর এক কেজি রুপোর মুকুট রয়েছে। আগে সেই মুকুট দেবীর মাথায় শোভা পেত। কিন্তু এখন আর প্রকাশ্যে সেটিকে আনা হয় না। একটি লোহার বাক্সে তালাবন্দি থাকে সেটি। মন্দির চত্বরেও আছে  পাহারার ব্যবস্থা। একাধিক বার ওই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে খবর।

কথিত আছে, বহু বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন রঘু ডাকাত। তখন এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা, জনশূন্য। আর নিশুতি রাতে শোনা যেত নেকড়ের ডাক। এক রাতে রঘু ডাকাত নাকি স্বপ্নে দর্শন পান মা কালীর— রক্তবর্ণ চোখ,  হাতে ত্রিশূল। রঘু পরদিনই শুরু করেন তন্ত্র সাধনা! সেই থেকেই এই কালীপুজোর শুরু। কারণসুধা, বলি আর মন্ত্রোচ্চারণ মিলেমিশে তৈরি হয় এক গা ছমছমে আবহ।

আরও পড়ুনঃ ব্যাপক হইচই; আমেরিকান মদ কোম্পানি তাদের বিয়ারের নাম রেখেছিল মা কালীর নামে!

এরপর কালের নিয়মে জনবসতি গড়ে ওঠে। ওই এলাকার বনজঙ্গলও কাটা পড়ে। রামদাস চক্রবর্তী এই অঞ্চলে প্রথম পাকা বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িই পরে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল। সেসময়ও এই মন্দিরে নিত্যপুজো হত। ইতিহাস বলছে, অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দল-এর বিপ্লবীরা এই মন্দিরের ছায়াতেই গোপনে বৈঠক করতেন। রাতের অন্ধকারে মোমবাতির আলোয় তৈরি হত বিপ্লবের মানচিত্র। বাঘা যতীন, যতীন দাস, ভগৎ সিং, রাজগুরু-সহ অনেক বিপ্লবী সেখানে যেতেন বলে শোনা যায়। স্থানীয়রা বলেন, “মা কালী তখনই যেন রূপ নিয়েছিলেন দেশমাতার— রক্ষাকর্ত্রী, আগুনের দেবী, শক্তির উৎস।”

পরবর্তী সময়ে কমলাকান্ত চট্টোপাধ্যায় এই পুজোর দায়িত্ব নেন। তাঁর তিন ছেলে মানিক চট্টোপাধ্যায়, হীরা চট্টোপাধ্যায় ও পান্নালাল চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী কালে বাবার মতোই তান্ত্রিক মতে এই পুজো চালিয়ে যান তাঁরা। চট্টোপাধ্যায় পরিবার এখনও বংশ পরম্পরায় এই পুজোর দায়িত্বে। বর্তমানে এই ঐতিহ্য রক্ষা করছেন মানিকবাবুর ছেলে ভৈরবনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আগে মা কালীর মাথায় সেই রুপোর মুকুট পরানো হত। কিন্তু একাধিকবার মন্দিরে চুরির চেষ্টা হয়েছে। এক রাতে প্রায় তালা ভেঙে মুকুট চুরি হতে বসেছিল। সেই থেকেই লোহার বাক্সে সেটি রাখা হয়েছে। এখন সিসিটিভি আছে, পাহারা আছে। তবুও বুকের ভেতর একটা অজানা আশঙ্কা থেকে যায়।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন