আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলে প্রবেশ করেছে। গত ১৭ বছরে এই প্রথম এত আগে বর্ষা প্রবেশ করেছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গের দরজাতেও কড়া নাড়ছে বর্ষা। এই অবস্থায় আগামী ৪ মাসের পরিস্থিতি রেলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। গাঙ্গেয় সমভূমি ও উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তার সঙ্গে হাজির হয়েছে নিম্নচাপ। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ ডিভিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮০০০০০০০০ টাকা লাভ, কোনও Loss নেই, চমক দিল BSNL
সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ, বুধবার শিয়ালদহ ডিভিশনের DRM-এর নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠক হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয় এদিন।
আরও পড়ুন: খালি গা, হেলমেটেরও বালাই নেই! আইনি বিপাকে সোনু
ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, একনজরে:
১. বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলিতে ডিজেল জেনারেটর বসানো হয়েছে। ট্র্যাকে যাতে জল না জমে তার জন্য পর্যাপ্ত পাম্প বসানো হয়েছে।
২. টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে চালু থাকবে একটি এমার্জেন্সি কন্ট্রোল সেল। বিভিন্ন দফতরের অফিসাররা উপস্থিত থাকবেন। অপারেটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল, সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের অভিজ্ঞ কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণস্থানে নজরদারি চালাবেন।
৩. আরপিএফ-কে সতর্ক করা হয়েছে। বৃষ্টিতে ব্যবহারের জন্য ৮০০টি স্যুট ইতিমধ্যেই কর্মীদের দেওয়া হয়েছে।
৪. ইলেকট্রিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিগন্যাল-টেলিকম সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫. ক্যানিং ও ডায়মন্ড হারবারের মতো ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি থাকবে।
৭. কাঁচড়াপাড়া, রানাঘাট, বহরমপুর, ব্যারাকপুরসহ বিভিন্ন রুটে ঝড়-বৃষ্টিতে ট্রেন চলাচল যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য গাছ কাটার কাজ চালানো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে।
৮. খারাপ আবহাওয়ার সময় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওভারহেড ইকুইপমেন্ট (OHE)-এর রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাওয়ার ওয়াগন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২০৪টি স্টেশনের ছাউনির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১০. ১২৪টি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে (LHS)-তে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১১. সোনারপুর, বারাসাত, বনগাঁ, রানাঘাট ও ব্যারাকপুরে রেইন গেজ বসানো হয়েছে, যাতে বৃষ্টির পরিমাণ মাপা যায় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
১২. নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, কৃষ্ণনগর, ব্যারাকপুর, বারাসাত-সহ ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অ্যানিমোমিটার বসানো হয়েছে, যাতে বাতাসের গতি ও অভিমুখ নির্ধারণ করে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।