শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাম-নবমী পালন করতে চেয়েছিল এবিভিপি (ABVP)। তবে তাতে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাম-নবমী পালন ডানপন্থী পড়ুয়াদের। উড়ল ‘জয় শ্রীরামের’ পতাকা। বাম-অতিবামদের ‘ঘাঁটি’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেরুয়া পতাকা! নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতির সই; চাইলেই আর জমি কাড়তে পারবে না ওয়াকফ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে রাম-পুজো করছে ডানপন্থী পড়ুয়ারা। শনিবারই ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকেছে রামের মূর্তি। প্যান্ডেল করে পুজোর সব তোড়জোড় শুরু করেছে ডানপন্থী পড়ুয়ারা। যাদবপুরের ছাত্র নেতা বলেন, “একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অল্প কিছু নকশাল রয়েছে। তারা বাদ দিয়ে আমরা সকলেই আজ এখানে রাম পুজো করছি।”
আরও পড়ুন: নাজেহাল সিপিআইএম! ‘রাজি’ নন সেলিম, পলিটব্যুরো নাম বাছাইয়েও দড়ি টানাটানি
তবে যাবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ গতকাল বলেছিল, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। যে অস্থায়ী উপাচার্য ছিলেন, তাঁকেও আচার্য সিভি আনন্দ বোস সরিয়ে দিয়েছেন। ফলত, উপাচার্য না থাকার জন্য এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না। এই মর্মে একটি রেজুলিউশনও পাস করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে সহ উপাচার্য, ডিন-দের সই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও, কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেছিলেন,”আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছোট করে আরাধ্য দেবতা শ্রী রামচন্দ্রের একটা আরাধনা করব। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তো আর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ইফতার হতে পারে, যদি সরস্বতী পুজোর মতো বিভিন্ন উৎসব ধুমধাম করে পালিত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের একপেশে সিদ্ধান্ত আমরা অনেক আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম।”