প্রত্যাঘাত করতে কোমর বাঁধছে ইরান। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডকে উদ্ধৃত করে ‘আল জাজ়িরা’ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট জায়গায় নিজেদের অত্যাধুনিক ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রকে মোতায়েন করছে তেহরান। এই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)-র নজর এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি ইরানের। আলাদা রকম কিছু। এতে বাচ্চা থেকে বড়, সকলেই কিছুক্ষণ অন্তত স্ক্রিন থেকে সরে গিয়ে কিছু এমন জিনিসের রহস্য খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যা হয়তো আগামীতে এরকম আর কিছু সায়েন্টিফিক ট্রেন্ড খুঁজে বার করতে মানুষকে উৎসাহ দেবে।
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু ক্ষণ আগেই ইজ়রায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু হয়েছে। সেই বিবৃতিতেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ইজ়রায়েলকে পাল্টা জবাব দিতে ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সত্যি হল আশঙ্কা! হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান
‘খাইবার শেকান’
ইরানের দাবি যদি সত্যি হয়, তবে ইজ়রায়েলের বিখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বা লৌহগম্বুজও ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্রের নাগাল পাবে না। ২০২২ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের ৪৩তম বর্ষপূর্তিতে এই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৪৫০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। প্রসঙ্গত, ইরান থেকে ইজ়রায়েলের দূরত্ব ১৫০০ কিলোমিটার। এটি দুর্গের নামানুসারে ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘খাইবার’। আর ‘শেকান’ শব্দের অর্থ ধ্বংসকারী।
‘আয়রন ডোম’
ইজ়রায়েলের আকাশের ‘নিশ্ছিদ্র রক্ষক’ ‘আয়রন ডোম’ মূলত তিনটি স্তরে কাজ করে— রেডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ‘ইন্টারস্পেটর ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়ে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করা। এ ছাড়া, তেল আভিভের কাছে রয়েছে আমেরিকায় তৈরি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ‘থাড’। তবে ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়েই ‘খাইবার শেকান’ হামলা চালাতে সক্ষম বলে দাবি ইরানের। এর আগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাসিম বশির ব্যবহার করে ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বোকা বানিয়েছিল ইরান।
আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী! ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদীর
শনিবার (স্থানীয় সময়) ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতান্জ় ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। তার পরেই পাল্টা জবাব দিতে ইজ়রায়েলে নয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তেহরান।