পুজোর আলোয় ছয়লাপ চারিদিক। মহালয়া বলে কথা। লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে ঠাকুর দেখতে। দুগ্গা দুগ্গা রব শহরজুড়ে। রাতের শহরে যাতে কারও কোনও বিপদ না হয়, সকলে নিরাপদ থাকে, তা নিশ্চিত করতে রুটিন প্যাট্রোলিংয়ে বেরিয়েছিলেন ইকো পার্ক থানার পুলিশ আধিকারিক জ্যোতিষ দেবনাথ।
আরও পড়ুনঃ খরচ কমবে আপনার; আজ থেকে বেশি দাম নিতে পারবে না দোকানিরা
সাইকেলে করে চেনা পরিচিত রাস্তাতেই টহল দিচ্ছিলেন। ইকো পার্কের ২ নম্বর গেটের কাছে সার্ভিস লেনে তাঁকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি। মুহূর্তেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে যান তিনি। পা থেকে ছিটকে যায় জুতো, হাতে থাকা জিনিসপত্র।
তাঁর সঙ্গে রবিবার রাতে আরও এক আধিকারিকও ছিলেন। গাড়িটি তাঁকেও মারে। স্থানীয়রা আওয়াজ পেয়ে দ্রুত তাঁদের নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ইকো পার্ক থানার কনস্টেবল জ্যোতিষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আরেক আধিকারিকের চিকিৎসা চলছে।
গাড়িটি দুই পুলিশকর্মীকে মেরে ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত সেটির কিনারা করা সম্ভব হয়নি। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘাতক গাড়ির খোঁজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অর্ধশতরান করে ‘একে৪৭’ চালানোর কায়দায় উচ্ছ্বাস; ‘গান’-র বদলা রানে!
পুজোয় বেপরোয়া গতির জেরে একাদিক দুর্ঘটনা প্রতি বছর দেখা যায়। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের শহরজুড়ে বিজ্ঞাপনও কাজে আসে না। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা তাই লাফিয়ে প্রতি বছরই বাড়ে।
কিন্তু এভাবে শহরের নিরাপত্তাপ্রদানকারীদেরও যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে তা বড় প্রশ্ন তুলে দেয়। এই ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়।