কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
ফুঁসছে তিস্তা। লাল সতর্কতা বহাল তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্লাবিত ময়নাগুড়ি ও ক্রান্তি ব্লকের একাংশ এলাকা। বাসুসুবা অঞ্চলের কেরানি পাড়া এলাকায় জলমগ্ন শতাধিক বাড়ি। নাওয়া খাওয়া বন্ধ এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে ঘুম উড়েছে তিস্তা পারের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ উপকূলে সুনামির প্রথম ঢেউ দেখা গেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো সেই ছবি
দোমহনী অঞ্চলের বর্মন পাড়ার বাসিন্দা বাবুল মহম্মদ, নুরবানু খাতুন, আব্দুল মহম্মদদের চোখে-মুখে আতঙ্ক। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিস্তায় জল বেড়েই চলেছে। তাই গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চোখে ঘুম নেই ওদের।
বাসুসুবা অঞ্চলের কেরানি পাড়া এলাকার বাসিন্দা মনিকা রায় বর্মন, স্বদেশ রায়দের বক্তব্য, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়লেই তাঁদের গ্রাম ভেসে যায়। এবারেও ঠিক তাই হয়েছে। কারও কারও ঘরে এক কোমর জল। প্রশাসন তাঁদের চিড়ে আর গুড় দিয়েছে। কিন্তু পানীয় জল নেই।
আরও পড়ুনঃ অ্যাপ টু প্রেম! সমকামী অ্যাপে প্রেমের খোঁজ, কপালে জুটল প্রতারণা; বালিগঞ্জে গ্রেপ্তার ৩ যুবক
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদ রঞ্জন রায় বলেন, “তিস্তায় জল বাড়লেই তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। আমরা তাদের পাশে সবসময় দাঁড়াই। এবারেও পাহাড়ে বেশি বৃষ্টির কারণে তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রচুর জল ছেড়েছে। তাই বানভাসি হয়েছে কিছু মানুষ। নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে। আমরা ওইসব এলাকায় থাকা দুর্গত মানুষের জন্য রিলিজ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি।” পানীয় জলের সমস্যা মেটাবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গতকাল, মঙ্গলবার থেকে তিস্তার জল হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। ডুবে গিয়েছে রাস্তা তথা জাতীয় সড়কের একাংশ।