সাখাওয়াত হোসেন সুজন, বাংলাদেশ
সীতাকুণ্ডে দেখা যায় ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের,টেলিয়াল ৫ নং ওর্য়াড ফেদাই নগর এলাকায় শত বছরের পুরোনো কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদ ও শীতলাদেবী মন্দির।
আরও পড়ুন: Film Festival: আরও কাছাকাছি রাম বাম, এক বিরল ঘটনার সাক্ষী
এখই স্থানে মসজিদ ও মন্দির। মিলেমিশে চলছে দুই সম্প্রদায়ের ইবাদত ও উপাসনা। সময় মতো করা হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের আজান,নামাজ,বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব আর সময় করে পালন করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব। এক পাশে ধুপকাটি সৌভাস আর অন্য পাশে আতরের সৌভাস।একপাশে চলছে উলুকধ্বনি আর এক পাশে চলছে জিকির। এই ভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে শত বছর ধরে এই পৃর্থক দুইটি ধর্মীয় মসজিদ ও মন্দিরে।মসজিদ আর মন্দির রয়েছে এখই স্থানে।এই দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে রয়েছে একটি দেয়াল। দেয়াল থাকলেও দুই এই ধর্মের মানুষের অন্তরে দেয়াল তৈরি করতে পারেনি।সেখানে মুসলিম ও হিন্দু এই দুই ধর্মের অনুসারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। এই দুই ধর্মের মানুষজনই তাদের নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছে নির্বিঘ্নে।তাদের দুই ধর্মের লোকদের কেউ বাধা দেয় না,যতটুকু সম্ভব একজন আরেকজন কে সাহায্য করেন।প্রায় শত বছর ধরে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ মানবিক নজির স্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার টেরিয়ার এলাকার ফেদার নগর বাসিন্দারা। প্রায় শত বছরের অধিক সময় ধরে একে অপরের গা ঘেঁসে দাড়িয়ে আছে ফেদার নগরের কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদ আর শীতলাদেবী মন্দির,যা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদের্শন।শুধু কি তাই, হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের শিক্ষা দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবেই দুই ধর্মের মানুষ যেখানে যার যার ধর্ম-কর্ম পালন করে আসছেন।এলাকার বাসির কাছে জানা যায়,প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানে মন্দির স্থাপন করা হয়।স্বাধীনতার পর থেকে অনেক বার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উসকানির ঘটনা ঘটলেও তার প্রভাব এ গ্রামে পড়েনি।দুই ধর্মের প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৫ গজের ব্যবধানে সহাবস্থানে রয়েছে। প্রথমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো দেয়ার ছিলো না। তবে বর্তমানে একটি দেয়াল উঠেছে। এ দীর্ঘ সময় ধরে দুই ধর্মের মানুষ কাছাকাছি অবস্থানে তাদের ধর্ম -কর্ম পালন করে আসছে।তাদের দুই ধর্মের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: Viral Video: নাচতে গিয়ে হার্ট-অ্যাটাক। অভিনয় নাকি সত্যি মৃত্যু!
কাশেম আলী চৌধুরী জামে মসজিদের ইমাম মো:নুরুল হোসাইন রাশেদ বলেন,’এইটা আমাদের জন্য একটা উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত পারে।পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ।