বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে জলে ডুবেছে আরামবাগ, খানাকুলের বিস্তৃর্ণ এলাকা। যে রাস্তাগুলি জেগে রয়েছে তারও সিংহভাগেরই অবস্থা বেহাল। অন্যদিকে গোটা এলাকাতেই বেহাল দশা একের পর এক সেতুর। দীর্ঘদিন থেকেই ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। এবার একেবারে পথ অবরোধ। স্থায়ী সেতু, রাস্তার বেহাল দশা, নদী পারাপারের জন্য নৌকার দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার বাসিন্দারা। শাসকদলের প্রধান ও উপপ্রধানের উদাসীনতার প্রতিবাদে দলমত নির্বিশেষে তিনটি গ্রামের মানুষ একযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন।
খবর শুনেই ছুটে এসেছেন রামমোহন ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুজিত ঘোষ। কিন্তু তাঁকে দেখেও তেড়ে যান আন্দোলনরত গ্রামবাসীরা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় পুরশুড়া-খানাকুল রাজ্য সড়কের কাছে খানাকুলের হেলান এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর আরও বাড়ে তীব্রতা। রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপ্রান্ত থেকে বাঁশ ফেলে রাস্তাও আটকে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীদের স্পষ্ট কথা কারও যাতায়াত করার দরকার নেই।
আরও পড়ুনঃ দুঃসংবাদ! এয়ারটেলের কর্মীদের জন্য
ক্ষোভের সুরেই গ্রামবাসীরা বলছেন, বারবার বলার পরেও পরিস্থিতির কোনওরকম পরিবর্তন হয়নি। ঠিক হয়নি রাস্তা, ঠিক হয়নি সেতু! কিন্তু এভাবে আর কতদিন? যদিও দ্রুত নৌকা আনার আশ্বাস দেন উপপ্রধান, রাস্তা মেরমতিরও আশ্বাস দেন! কিন্তু, তাতে যে খুব একটা চিঁড়ে ভিজেছে এমনটা নয়। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বচসাও হয় উপপ্রধানের। কেন সরকার, কেন পঞ্চায়েত এত উদাসীন? কেন হচ্ছে না এলাকার উন্নয়ন? প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকেন গ্রামবাসীরা। সব মিলিয়ে কিছু সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খানাকুল থানার পুলিশ। বেশ কিছু সময় পরে উঠে যায় অবরোধ।