কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে আরএসএসকে! ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। তাঁর বক্তব্য, “আরএসএসকে আগেও একাধিকবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে হাতে পায়ে ধরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলেছিল সংঘ। কিন্তু সেটাই কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ভুল।”
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ হলে লাভবাইট কোথা থেকে এল’? মনোজিতের আইনজীবীর বিস্ফোরক দাবি
২০২৩ সালে কর্নাটকে ক্ষমতায় আসার পরই আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন খাড়গে। ফের সেই একই হুমকি শোনা গেল কর্নাটকের মন্ত্রীর মুখে। আসলে সম্প্রতি একাধিক আরএসএস এবং বিজেপি নেতা সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক শব্দদুটি ফেলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সেই দাবির তীব্র বিরোধিতা করে প্রিয়াঙ্ক খাড়গের ইঙ্গিত, আরএসএস এই ধরনের ‘দেশবিরোধী’ পদক্ষেপ করতে চাইলে কংগ্রেস কঠোরভাবে সেটার প্রতিবাদ করবে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা! সব নজর থাকবে বঙ্গ বিজেপির দিকে
কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরলে আরএসএসকে ফের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে কর্নাটকের মন্ত্রী বললেন, “আমরা বরাবর সংঘের মতাদর্শের বিরোধী। অতীতে দু-তিনবার সংঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।” প্রিয়াঙ্কের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর আরএসএস কংগ্রেস নেতাদের হাতে পায়ে ধরে। বারবার দাবি করে তারা দেশবিরোধী কার্যকলাপ করবে না। উদাহরণ টেনে কংগ্রেস নেতা বলছেন, “অতীতে সর্দার প্যাটেল যখন আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন, তখন সংঘ নেতারা তাঁর হাতে পায়ে ধরেন। আবার ইন্দিরা গান্ধীর সময়ও একই ভাবে হাতে পায়ে ধরেন আরএসএস নেতারা।” কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে আরএসএস কি নিষিদ্ধ হবে? প্রশ্নের জবাবে খাড়গে বললেন, “ব্যাপারটা আমরা ভেবে দেখব।”
বস্তুত ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পর সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবে সরকার। ফলে এই সময়েই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পরে জরুরি অবস্থাতেও সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি পুরো বিষয়টিকে ‘মুঙ্গেরিলাল কে হাসিন সপনে’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।