বর্ষার মরসুমে চায়ের সঙ্গে গরম শিঙাড়া পেলে আর কী-ই বা চাই? অফিস হোক বা স্কুল কলেজের ক্যান্টিন— শিঙাড়ার দেখা পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। অনেকের আবার শিঙাড়ার সঙ্গে চাই জিলিপি। তবে আপনার প্রিয় সেই সব খাবার শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি করে দিচ্ছে— সেটাই মনে করানোর দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়া ফরমান জারি করেছে।
আরও পড়ুনঃ “এবার বিসর্জনের পালা”; উত্তরবঙ্গে পা দিয়েই তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য
এ বার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্যান্টিনগুলিকে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জিলিপি-শিঙাড়া খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে হবে। শিঙাড়া-জিলিপিতে কতটা ক্যালোরি আর চিনি আছে, সেই বিষয় পোস্টার লাগাতে হবে ক্যান্টিনগুলিতে। শুধু শিঙাড়া-জিলিপিই নয়, লাড্ডু, বড়া পাও, পকোড়াও রয়েছে সেই তালিকায়। এইম্স নাগপুর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া নিয়মটি নিজেদের ক্যাম্পাসে চালু করার বিষয় উদ্যোগী হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাবা-মা চুপ! ৩ বছরের নিষ্পাপ শিশুকে ‘ধর্ষণ’; গুণধর নিজেই ভাইরাল করল কীর্তি
ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে ওবেসিটির সমস্যা। ইতিমধ্যেই পাঁচ জন শহরবাসীর মধ্যে এক জন ওবেসিটির শিকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই ভাবেই চলতে চাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৪৪.৯ কোটি ভারতীয় স্থূলত্বে আক্রান্ত হবেন। আর এই কারণেই ওবেসিটি বা স্থূলত্ব রুখতে এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই খাবারগুলির বিক্রির উপর কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। চিনি, ট্রান্সফ্যাট যা শিঙাড়া-জিলিপির মতো মুখরোচক খাবারে থাকে, তা যে তামাকের মতোই শরীরের সমান ক্ষতি করছে, সেই বিষয় সতর্ক থাকতে হবে মানুষকে। মানুষ খাওয়ার আগে যেন জানতে পারেন, তাঁরা ঠিক কী খাচ্ছেন, সেই সচেতনতা তৈরি করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন আর হার্টের অসুখ রুখতেই এই সচেতনতা জরুরি।