ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতেও কমছে না গরম। বাইরে বেরলে হয় বৃষ্টি আর না হলে ঘামে ভেজা দশা। তার জেরে ত্বক ও চুলের দফারফা। বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যা যে বেশি দেখা দেয়, তা মোটের উপর জানেন সকলেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির জলে প্রচুর অ্যাসিড উপাদান, প্রচুর ধুলোবালিও রয়েছে। যার ফলে বৃষ্টির জল পড়লে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, আবার স্ক্যাল্পেরও ক্ষতি হয়। তাই বৃষ্টির সময় চেষ্টা করুন, যথাসম্ভব মাথা ঢেকে রাখতে। কিন্তু একটা সাদারণ সমস্যা সকলেরই প্রায় অল্পবিস্তর হয়। সেটা হল স্ক্যাল্পে চুলকানি। এর থেকে রেহাই পাবেন কী করে? ঝটপট জেনে নিন ঘরোয়া কিছু টোটকা।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণ মাসে নিরামিষ! রাঁধতে পারেন ছানার ডাব মালাই
১) প্রথমেই বাইরে থেকে এসে মোটা দাঁড়ের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান, তাতে জট ছাড়ানো সহজ হবে।
২) এরপর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। কারণ বর্ষাকালে আবহাওয়া গুমোট থাকায় চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এই ঘাম থেকেই খুশকি ও চুল ঝরা শুরু হয়। তাই এই সময়টাতে চুলের স্পেশাল কেয়ার করা ভীষণ জরুরি।
৩) শ্যাম্পুর কন্ডিশনার লাগানো মাস্ট! কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরেও চিরুনি দিয়ে চুলের আচড়ে নিন, তাতে গোটা চুলে সমানভাবে কন্ডিশনার ছড়িয়ে যেতে পারবে। এবার ভালো করে চুল ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীন ভারতে প্রথমবার, দায়িত্ব সামলেছেন সকালেও; আচমকা ইস্তফা ধনখড়ের
৪) আরেকটি বিষয় এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সেটা হচ্ছে অনেকেই মনে করেন বর্ষাকালে যেহেতু চুলের গোড়া ঘেমে থাকে, তাই তেল ব্যবহার করার দরকার নেই। কিন্তু এটা একেবারে ভুল ধারণা। চুলে তেল লাগালে স্ক্যাল্পের শুষ্কতাও দূর হয়। তবে অতিরিক্ত তেল লাগাবেন না, পরিমাণমতো তেল চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন। এক্ষেত্রে স্ক্যাল্পের চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।
৫) আরেকটা মোক্ষম উপায়। কিছুটা মেথি জলে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। একটি স্প্রেয়ার বোতলে সেই জল রেখে চুলের গোড়ায় স্প্রে করে নিন। সপ্তাহে একদিন করুন। দেখবেন, চুলের গোড়া শক্ত হবে। চুল পড়াও বন্ধ হবে। এতে স্ক্যাল্পের সমস্যাও দূর হয়।