ব্যুরো নিউজ, ত্রিপুরা:
মোট ৪০ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একসাথে পাঁচটি জায়গার মোটর স্ট্যান্ড ও একটি যাত্রী শেড নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। বুধবার পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে জিরানিয়া, জুলাইবাড়ি, মেলাঘর, তেলিয়ামুড়া এবং শান্তির বাজারে এই মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণের শিলান্যাস হয়।
ভার্চুয়ালি চারটি জায়গার এই কর্মযজ্ঞে মুখ্যমন্ত্রীও অন্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু জিরানিয়াতে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক পদস্থ আধিকারিকরাও। এদিন ভুমি পুজোও অনুষ্ঠিত হয়। জিরানিয়ায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘হীরা’ বর্তমানে বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ ১৩.২৫ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ জিরানীয়া মোটরস্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমি পূজন কার্যক্রমে তিনি শামিল হন। এই অনুষ্ঠান থেকে ৪.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত খোয়াইর ইন্টিগ্রেটেড পার্কিং কমপ্লেক্সের শুভ উদ্বোধন করেন।
একই সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আরো চারটি স্থানে নতুন পরিবহন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
১. ৬.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে খোয়াই জেলাপরিবহন কার্যালয়, তেলিয়ামুড়া।
২. ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিপাহিজলা জেলার মেলাঘর মোটরস্ট্যান্ড।
৩. ৬.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা পরিবহন কার্যালয়,শান্তিরবাজার।
৪. ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়ি মোটরস্ট্যান্ড।
এই কার্য্যক্রমে সর্বমোট ৪০.৫৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন হয়।
এদিকে খোয়াইবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো একই দিনে। খোয়াই পুর পরিষদের অধীন ইন্টিগ্রেটেড পার্কিং কমপ্লেক্সের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
আজ মুখ্যমন্ত্রী মোট ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। তারমধ্যে এটি ছিল একটি। ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও।
আরও পড়ুন: Tripura: শারীরিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষন নিয়ে প্রদ্যুতের অভিযোগ নস্যাৎ
মুল অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জেলার জেলা শাসক চাঁদনি চন্দ্রন সহ অন্যান্যরা। এই নবনির্মিত বাস স্ট্যান্ডটি দীর্ঘ বছর যাবত উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল।