তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনায় সরগরম হয়ে উঠেছিল ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগের সময়টা। কখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন কি রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়বেন সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছেন মহারাজ নিজেই।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে এন্ট্রি ট্রাম্পের, কেঁপে উঠল ইরান!
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আর একবছরও বাকি নেই। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইবেন সৌরভ? রাজনীতির ময়দানে নামবেন? সেই প্রশ্নে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি মহারাজ। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট জানান, “এই নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই।” যদি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার প্রস্তাব পান? তাতেও আগ্রহ দেখাননি সৌরভ।
তাহলে আগামী দিনে নিজেকে কোন ভূমিকায় দেখতে চান তিনি? সৌরভের জবাব, “আমি কোনওদিন সেভাবে ভাবিনি এসব নিয়ে। নানা ভূমিকাতেই কাজ করেছি। পেশাদার ক্রিকেটের পর বোর্ডের সভাপতি হয়েছি।” মহিলাদের ক্রিকেটে উন্নতি সাধনকেই বোর্ড সভাপতি হিসাবে নিজের সেরা সাফল্য বলে মনে করেন সৌরভ। প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি ভারতীয় দলের কোচিং করাবেন? সৌরভের জবাব, “দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। আমি এখন সবে ৫০। সব সম্ভাবনাই খোলা রাখতে চাই। দেখা যাক কী হয়।”
আরও পড়ুন: মহিলার চালে নিঃস্ব প্রভাবশালী ব্যবসায়ী; ২০ মিনিটে ২০ কোটির সোনা-হিরে লুঠ!
তবে বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রশংসা করতে ভোলেননি সৌরভ। তাঁর মতে, বেশ ভালো কাজ করছেন গম্ভীর। বিশেষত নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে উন্নতি করেছেন ভারতীয় দলের হেডকোচ। নিজের কাজ নিয়েও গম্ভীর খুবই আবেগপ্রবণ। তবে সৌরভ মেনে নিয়েছেন, ইংল্যান্ড সফরটা গম্ভীরের কাছে বিরাট পরীক্ষা। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হবেন গম্ভীর, আশাবাদী সৌরভ।