জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান নিয়ে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ার ধরণ, টার্গেট এবং সময় নির্ধারণের জন্য সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা দিয়েছেন ভারতীয় সেনাকে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পরে কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে নয়াদিল্লিতে নিজের বাস ভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। রাজনাথ সিং, অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানও। এই বৈঠকে ছিলেন নৌ-বাহিনীর প্রধান দীনেশ কে ত্রিপাঠী এবং বায়ুসেনার প্রধান অমর প্রীত সিং। মোট ৯০ মিনিট চলে বৈঠক।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহে আক্রমণের ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সুর ছিল প্রধ্নামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলাতেও।
আরও পড়ুন: রাওয়ালপিন্ডির বাঙ্কারে লুকিয়ে আছেন পাক সেনাপ্রধান? কোথায় উধাও হলেন!
সূত্রের খবর এই দিন বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রতিক্রিয়া বা প্রত্যাঘাতের ধরণ, টার্গেট এবং সময় নির্ধারণের বিষয়ে ভারতীটয় সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরকারের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, সাত দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করার একদিন আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র মারফত খবর, এই বৈঠকের পর আরেকটি মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এই বৈঠকের বিষয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই বইঠকে উপস্থিত থাকার কথা সড়ক পরিবহন মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রী সহ পাঁচ সদস্যের সিসিএসদের।
সিসিএস-এ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও রয়েছেন। জানা গিয়েছে সিসিএস এবং সিসিপিএর পরে, অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিও বৈঠক করবে।
আরও পড়ুন: বিরাটি থেকে গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিতেন; আদালতে ED
উচ্চ-স্তরের বৈঠকের এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে ভারত কতটা সাঙ্ঘাতিক।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসাবে ভিসা বাতিল, সিন্ধু জল বন্টন যুক্তি স্থগিত করার মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার মেডিকেল ভিসাও বাতিল করেছে।