আজ AIDSO সংগঠনের রাজ্য অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক ছাত্র শহীদ দিবসে কলকাতায় ছাত্র সমাবেশ ও মহামিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে AIDSO পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন “পশ্চিমবঙ্গে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুখোমুখি। রাজ্য সরকার পরিকল্পনা মাফিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে রাজ্য জুড়ে ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত করে আন্দোলন সংগঠিত করছি।
আরও পড়ুনঃ রাত দখলের আন্দোলনে সামিল হয়েছিল গোটা শহর; মীনাক্ষী-কলতানদের নিঃশর্ত জামিন দিল কোর্ট
একদিকে যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং সকল দুর্নীতি গ্রস্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিতে আমারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন অবিলম্বে ঘোষণা করা এবং ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দুর্নীতি, থ্রেট সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতেও আমরা সোচ্চার। আর জি কর থেকে কসবা ল’ কলেজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রাজপথ থেকে ক্যাম্পাস ছাত্রী তথা নারীর কোন নিরাপত্তা নেই। আমরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে ধারাবাহিক ভাবে লড়াই করে আসছি। অন্যদিকে সরকারি নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা সর্বস্তরে ড্রপ আউটের সংখ্যা প্রতিটা শিক্ষাবর্ষে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। এই ড্রপ আউট কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের ন্যূনতম মানবিক প্রচেষ্টা নেই ।
আরও পড়ুনঃ ২৬-এ বাংলা ‘দখল’! বড় অফিস খুঁজছে বিজেপি, থাকবে হেলিপ্যাডও
এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতাতেই ১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক ছাত্র শহীদ দিবসের আমরা কলকাতার কলেজ স্ট্রিট বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশে ৩০ হাজার ছাত্র জমায়েত করে সমাবেশ এবং ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই মহামিছিলে গোটা বাংলার ছাত্র সমাজ তাদের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বয়কট করে কলকাতার এই ছাত্র জমায়েতে শামিল হবে। মিছিল শেষে এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি প্রদান করবে। আমরা এই বাংলার সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের কাছে আহ্বান করছি সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচানোর দাবিতে যে লড়াই আমরা গোটা রাজ্য জুড়ে সংগঠিত করছি এই লড়াই তে আপনারাও এগিয়ে আসুন।”