প্রায় দু’বছরের লড়াই শেষে শুক্রবার সুদানের রাজধানী শহর খারতুমের রিপাবলিকান প্যালেস ফের দখল করে নিল সুদানের সেনাবাহিনী। এমনটাই জানানো হয়েছে ফৌজের তরফে। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ভাঙা আসবাবের মধ্যে থেকেই সেনাকর্মীরা অস্ত্র উঁচিয়ে ধরে চিৎকার করছেন, ”ভগবান সর্বশক্তিমান।” এদিকে সুদানের তথ্যমন্ত্রী খালেদ আল-আইসার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘আজকে পতাকা তোলা হয়েছে। এরপরে জয় সম্পূর্ণ করায়ত্ত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।’
আরও পড়ুন: মুজিবের মুক্তিযোদ্ধা তকমা কেড়ে নিতে চলেছে ইউনুস সরকার
গত দুই বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সুদান। সেদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনী ব়্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সমস্যা থেকে গোলমালের সূত্রপাত। এই সময়কালে রিপাবলিকান প্যালেস ছিল আধাসামরিক বাহিনীরই দখলে। অবশেষে তা ফের দখল করল সামরিক বাহিনী। ২০১৯ সালে গদিচ্যুত হয়েছিলেন সুদানের প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ক ওমর-আল বশির। এর পরবর্তী সময়ে দুই সেনাবাহিনীই চালাচ্ছিল দেশ। কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এই সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১০ হাজার মানুষ। গৃহহীন হন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: ছেলের অত্যাচারে বাবার আ*ত্ম*হ*ত্যা; অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছেলে
আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছিলেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল-সেনাপ্রধান আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে।