নিজস্ব প্রতিনিধি, যশপাল সিং, ত্রিপুরা:
ত্রিপুরায় রাজস্ব বিভাগের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে রাজস্ব বিভাগ উত্তর দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় বিষয়টি আরও বিতর্কিত হয়ে ওঠে। সুদীপ অভিযোগ করেন যে এই কেলেঙ্কারিতে স্থানীয় বিজেপি নেতাসহ রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত।
আরও পড়ুন: রতন লাল নাথের বরখাস্তের দাবিতে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি
সিপাহীজলা জেলায় জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে সুদীপ রায়বর্মন বিধানসভায় প্রশ্ন জমা দিলেও অধিবেশনের আধ ঘণ্টা আগে তাকে জানানো হয় যে রাজস্ব বিভাগ উত্তর দিতে অপারগ। সচিবালয়ের এই ভূমিকা নিয়ে সুদীপ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, রাজস্ব বিভাগ কীভাবে সংসদীয় রীতি অমান্য করতে পারে। সংবাদমাধ্যমে সুদীপ জানান, এই কেলেঙ্কারিতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, সিপাহিজলা জেলার ডিএম অফিসের রত্নজিৎ দেববর্মা এবং আগরতলার রাজস্ব দপ্তরের কম্পিউটার ইনচার্জ তাপস চৌধুরী সরকারি জমি, জুট ল্যান্ড, এবং চা বাগানের জমি নিজেদের জমি হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করেছেন বা সরকারের কাছে অধিক দামে হস্তান্তর করেছেন। সুদীপ আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে একটি দুষ্টচক্র এই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতির ফলে একাধিক অবৈধ সুবিধাভোগী আগরতলা এবং কলকাতায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রামে কলকাতায় নিখরচায় যাত্রা, আপনি আসছেন তো
সুদীপ অভিযোগ করেন যে সিপাহিজলা জেলায় ৫০০ কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে একটি চিঠি দাখিল করেছিলেন তৎকালীন ডিএম ড. বিশাল কুমার। কিন্তু সেই চিঠির ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং ড. বিশাল কুমারকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আগরতলায় বদলি করা হয়, কারণ তিনি এই দুর্নীতির বিষয়ে অনেক কিছু জানতেন। সুদীপ এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, “এই দুর্নীতি শুধু সিপাহিজলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জনসাধারণের বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে।” কংগ্রেস ইতোমধ্যে এই ইস্যুতে সরব হয়েছে।