যশপাল সিং, ত্রিপুরা
মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের রহস্যজনক মৃত্যু। তার স্বামীর আশঙ্কা ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের মামলার ভয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করছেন স্ত্রী। মৃতার নাম সুনীতি সরকার। তিনি পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি আমতলী থানার অন্তর্গত ওএনজিসি নেতাজি নগর এলাকায়। মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গেছে আমতলী থানার অন্তর্গত ওএনজিসি নেতাজি নগর এলাকায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সঠিক সময়ে তিনি ব্যাংকের সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না।
আরও পড়ুন: Parrot: শিলিগুড়িতে টিয়া পাখির ভোজ: এক নয়নাভিরাম দৃশ্য
যার ফলে ব্যাংক থেকে ওই মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে বারবার চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করার হুমকি দিতে শুরু করে। ঘটনাটি সুনীতি সরকার উনার স্বামী দেবদুলাল সরকারকেও জানান এবং পরবর্তী সময়ে উনার আত্মীয়-স্বজনদের জানান। মহিলার স্বামীসহ আত্মীয় পরিজনেরা মহিলাকে সান্তনা দিতেন। অবশেষে বুধবার সুনিতি সরকার পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় ডিউটিতে গিয়ে খবর পান যে পুলিশ নাকি উনাকে বাড়িতে গেলে গ্রেফতার করবে। সেই খবর শুনে মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সুনীতি সরকারের মনে প্রচন্ড ভয় এবং চিন্তার উদ্রেক হয়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে সুনীতি সরকার নিজের কর্মস্থল থেকে এসে পরিবারের অন্যান্যদের অনুপস্থিতিতে নিজ ঘরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন। ওনার স্বামী দেবদুলাল সরকার কিছুক্ষণ পর ঘরে প্রবেশ করতেই নিজের স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
আরও পড়ুন: Siliguri: তিন বছর পূর্তি, পরিকল্পনা অনেক; জানালেন গৌতম
ছুটে আসে আশেপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন। খবর দেওয়া হয় আমতলী থানায়। খবর পেয়ে আমতলী থানার সাব ইন্সপেক্টর হিরেণ দেববর্মা সহ ডেপুটি কালেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পুলিশ এবং ডেপুটি কালেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সুনীতি সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মরগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে আমতলী থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুকালে ওই মহিলার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৪০। গোটা ঘটনায় এলাকা জুড়ে গভীর সুখের ছায়া নেমে আসে।