নেপাল, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব বোঝাতে নেপাল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার উল্লেখ করলেন।
এ দিন শীর্ষ আদালতে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের এক মাসের বেশি সময় বিল আটকে রাখা নিয়ে মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলার শুনানিতেই নেপাল, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করেন। নেপালের অস্থির পরিস্থিতি এবং সরকার বিরোধী আন্দোলন, যার জেরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করা হয় শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি গত বছর যেভাবে ছাত্র গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ অকুতোভয় তিনি, বিচারব্যবস্থার পর নেপাল সামলানোর দায়িত্ব সুশীলার কাঁধে, কিন্তু সেনা কি মেনে নেবে!
ভারতের সংবিধানের ১৪৩ ধারার বিধানে রাষ্ট্রপতিকে অধিকার দেওয়া হয়েছে যে, তিনি কোনও আইনের প্রশ্ন বা গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থের বিষয় নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন। এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি.আর. গভাই বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধান নিয়ে গর্বিত।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “দেখুন প্রতিবেশী দেশগুলিতে কী হচ্ছে..নেপালে দেখুন”। তার সঙ্গে বিচারপতি বিক্রম নাথ যোগ করে বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশও দেখুন…”।
আরও পড়ুনঃ ‘সরকার পতনের এশিয়া কাপ’! নেপালের গৃহযুদ্ধের আড়ালে কে?
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে এই ধরনের ঘটনা বিরল। প্রধান বিচারপতি গভাই এতে বলেন, “আমরা স্ট্যাটিস্টিক্স নিতে পারি না…এটা ঠিক হবে না। আমরা ওদের (রাজ্যের) তথ্য নিইনি। তাহলে কী করে আপনাদের তথ্য নেব? আমরা এই বিষয়ে ঢুকব না…”
সলিসিটর জেনারেল এর জবাবে বলেন যে রাজ্যের পাশ করা ৯০ শতাংশ বিলই রাজ্যপাল এক মাসের মধ্যে পাশ করে দেন।