অপারেশন সিঁদুরে নয়টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে শতাধিক জঙ্গিকে খতম করার পর, ইসলামাবাদে ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর চাপ বাড়াল পাকিস্তান। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশন এবং কূটনীতিকদের বাসভবনে সংবাদপত্র পৌঁছানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লিতে অবস্থানরত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্যও সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করেছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ আওয়াজ উঠেছে বয়কটের! দেশে মার্কিন বর্জনের ডাক
এখানেই থেমে থাকেনি ইসলামাবাদ। সূত্রের দাবি, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে। এমনকি অনুমতি ছাড়াই তাঁদের বাসভবন ও কার্যালয়ে প্রবেশের ঘটনাও ঘটছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য ভিয়েনা কনভেনশন যেভাবে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়, এই কর্মকাণ্ড তা স্পষ্টতই লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি, গ্যাসও জল-সহ মৌলিক পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য। পাকিস্তানি প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় বিক্রেতারা ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারীদের সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন তাঁরা আর ভারতীয় কূটনীতিকদের কাছে রান্না ও গরমের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি বিক্রি না করেন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের সঙ্গে সেলফি! বোমা-সহ লালকেল্লায় ‘জঙ্গি’! চাঞ্চল্য স্বাধীনতা দিবসের আগে
এর আগেও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তান একই ধরনের হয়রানির পথে হাঁটেছিল। সে সময়ও ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি, সরবরাহ বন্ধ-সহ নানাবিধ চাপ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছিল। ইসলামাবাদের এক সূত্রের কথায়, “এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০১৯ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরও পাকিস্তান একই কৌশল নিয়েছিল।”