খিদিরপুরে পরিকল্পনামাফিক আগুন লাগানো হয়েছে। এটি ‘ম্যান মেড’! মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তাঁর খোঁচা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। গরিব ব্যবসায়ীদের তো নয়ই।
আরও পড়ুন: ছটি জায়গায় ই ডি! লেকটাউনে আইনজীবির বাড়িতে ইডির হানা
গত রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয় খিদিরপুর বাজারের বহু দোকান। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও কিছু অংশে আগুন ছিল। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানকার ব্যবসায়ীদের জানিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য দ্রুত অস্থায়ী মার্কেট গড়ে দেওয়া হবে। তারপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের যাদের পুরো দোকান পুড়ে গিয়েছে তাদের ১ লক্ষ টাকা আর যাদের দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ব্যবসায়ী মহল এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি হয়নি।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করে বলেন, ”এই অগ্নিকাণ্ড ম্যান মেড। পরিকল্পনা করে আগুন লাগানো হয়েছে।” বিরোধী দলনেতার এও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী একটা বিশেষ অংশের হয়ে কাজ করছেন। তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী আর নেই। আর রাজ্য সরকারও তাই নিষ্ক্রিয়। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর থেকে আস্থা উঠে গেছে মানুষের। রাজ্যে গোটা সিস্টেমই ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হাই অ্যালার্ট! ‘দ্রুত যোগাযোগ করুন…’, ভারতীয়দের নির্দেশ দূতাবাসের
আগুন লাগার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে সম্পূর্ণ দোষারোপ করে শুভেন্দু এও দাবি করেন, ”ঘটনাস্থলে এসেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দোকানের জন্য জায়গা ঠিক করা আছে। অর্থাৎ গোটা এলাকা বেচে দিয়েছেন। তৃণমূল মানে এখন মা-মাটি-মানুষ নয়, টাকা-মারা-কোম্পানি।” গোটা বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাধারণ মানুষকে তাঁর আহ্বান, রাজনৈতিক ঝান্ডা ছেড়ে একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে।
অভিযোগ যাই হোক, খিদিরপুরে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট কিংবা দাহ্য বস্তু থেকেই আগুন লেগেছে। সেক্ষেত্রে সিলিন্ডার লিক করে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।